চিনের চোখ রাঙানির তোয়াক্কা না করেই তাইওয়ান সফর সেরেছেন আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি । কট্টর চিন-বিরোধী বলেই যাঁর খ্যাতি। ন্যান্সির সফর বানচাল করতে না পেরে এবার তাইওয়ানের দিকেই যত রোষ গিয়ে পড়েছে চিনা সরকারের। তাইওয়ানকে এবার চরম শাস্তি দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেজিং। পেলোসি তাইওয়ান ছাড়তেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি শুরু হয়েছে। ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান ছেড়ে বেরিয়েযাওয়ার পরেই গোটা তাইওয়ান প্রণালীকেই বিপজ্জনক অঞ্চল বলে চিহ্নিত করেছে চিন। আরও ২৭টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের সঙ্গে একাধিক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তারা। সেই সঙ্গে বেজিং তাইওয়ান থেকে খাদ্য আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। তাইওয়ান থেকে ফল এবং মাছ কেনে বেজিং। আরও কিছু জরুরি পণ্যেরও লেনদেন হয়। মার্চ মাস থেকে আনারস আমদানি বন্ধ করেছে বেজিং। এবার বাকি খাদ্য়পণ্যের ওপরেও রাশ টানতে চলেছে তারা। তাইওয়ানের অর্থনীতির অনেকটাই জুড়ে রয়েছে চিনের সঙ্গে এই আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। সেই অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভাঙতেই চিনের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন পেলোসি-সহ আমেরিকার কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ে আমেরিকার বিমানবাহিনীর ১৩টি ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন। কিন্তু পেলোসির এই তাইওয়ান সফরকে ভাল চোখে দেখেনি চিন। বুধবারও তাইওয়ান প্রণালী ঘেঁষে চিনা যুদ্ধবিমানের যুদ্ধ মহড়ার খবর এসেছে। অন্য দিকে, জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে তাইওয়ানে উড়ে এসেছে আমেরিকার বিমানবাহিনীর ২২টি ফাইটার জেট। যদিও এখনও অবধি সরাসরি সংঘাতের কোনও খবর মেলেনি, তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ন্যান্সির সফরের পর চাপ বাড়াতে নতুন তৎপরতা শুরু করতে পারে চিনা ফৌজ।