চিনের হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ানে পা দিলেন মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মার্কিন বায়ুসেনার বিমান অবতরণের পর তাইওয়ানের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ তাইওয়ানে নামেন মার্কিন সংসদের স্পিকার। তারপর টুইটারে তিনি বলেন, ‘তাইওয়ানের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের পাশে থাকতে আমেরিকার যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছে, আমাদের প্রতিনিধিদের সফরে প্রতিফলিত হচ্ছে। তাইওয়ানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে সেদেশের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা-সহ আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হবে।
চিনের প্রতিক্রিয়া
তাইওয়ানে পেলোসি অবতরণের পরই হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। চিনেক তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এই ধরণের পদক্ষেপ অত্যন্ত বিপজ্জনক, বিষয়টা আগুন নিয়ে খেলার মতো। যারা আগুন নিয়ে খেলে তারা আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়।' চিন এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাইওয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেইসঙ্গে বেজিংয়ের অভিযোগ, তাইওয়ান সরকার এবং আমেরিকা একতরফা স্বাভাবিক অবস্থা পালটানোর চেষ্টা করছে।
কিছুক্ষণ পর চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে টুইটারে দাবি করা হয়েছে, তাইওয়ান পেলোসি আসার প্রতিবাদে কয়েকটি নির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ করা হবে এবং সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিত অখণ্ডতা রক্ষা করবে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
তাইওয়ান সফর নিয়ে কেন এত উত্তেজনা?
এবারের এশিয়া সফরে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানেও যাবেন পেলোসি। তবে তাইওয়ান সফর ঘিরেই যত উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তাইওয়ান লাগোয়া মূল ভূখণ্ডের সীমান্ত এলাকা এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে চিন। যুদ্ধবিমানও মোতায়েন রাখা হয়। আমেরিকা এবং তাইওয়ানও পিছু হটেনি। আমেরিকাও দ্বীপপুঞ্জ লাগোয়া এলাকায় নৌবহর মোতায়েন করেছে। সতর্ক আছে তাইওয়ানও।
দীর্ঘদিন ধরেই স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে বেজিং। মঙ্গলবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই হুঁশিয়ারি দেন, আমেরিকার কয়েকজন রাজনীতিবিদ আগুন নিয়ে খেলা করছেন। কিন্তু সেই কাজটা ভালো হচ্ছে না। তাতে অবশ্য ভ্রূক্ষেপ করেনি ওয়াশিংটন। পেলোসি তাইওয়ানে অবতরণ করেন। যিনি ২৫ বছরে প্রথম মার্কিন সংসদের স্পিকার হিসেবে তাইওয়ানে পা রেখেছেন।