মগড়ার বিশপাড়া এলাকার বাসিন্দা জয়িতা। মাত্র চারমাস আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল চুঁচুড়ার বুনো মসজিদতলার বাসিন্দা মৃন্ময় সরকারের সঙ্গে। রবিবার রাতে জয়িতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল শ্বশুরবাড়িতে।
জয়িতার বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানায়, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মা-বাবার সঙ্গে কথাও বলতে দেওয়া হত না। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালান হত জয়িতার ওপর। তাঁরা অভিযোগ করেছেন জয়িতার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে।
জয়িতার শাশুড়ি অঞ্জনা সরকার বলেছেন, ‘সব ঠিকই ছিল। ওর মা এসেছিল মেয়েকে দু’দিন নিয়ে যাওয়ার জন্য। মা চলে গেলে বৌমা দুধ খেয়ে উপরে যায় নিজের ঘরে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ উপরে গিয়ে ডাকি। একসঙ্গে সিরিয়াল দেখি। কিছুক্ষন পর ঘরে চলে যায়। এগারোটার পর উপরের ঘরে গিয়ে খাবার জন্য ডাকি। দরজা খোলেনা। এরপর বৌমার মা ফোন করে বলে জয়িতাকে ফোনে পাচ্ছে না। আমাকে ডেকে দিতে বলে। তখনও গিয়ে ডাকাডাকি করি। দরজা বন্ধ ছিল। ভেঙে দেখি ঝুলছে’।
ঘটনায় জয়িতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।