গত কয়েক বছর ধরে আমেরিকা অভিযোগ করছে, কূটনৈতিক উদ্দেশে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে ঋণ দিচ্ছে চিন। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশগুলিকে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলাই বেজিং-এর লক্ষ্য। চিনের থেকে যারা সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়, তাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থা এখন তথৈবচ। কোনওরকমে হাল ফেরাবার চেষ্টায় আছে দ্বীপরাষ্ট্র। এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কার বন্দরের দিকে চিনা জাহাজের গতিবিধি খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না ভারত।
সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কার হামবানতোতা বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে চিনা জাহাজ। হামবানতোতা বন্দরে চিনের গতিবিধি আগেও দেখা গেছে। চিন থেকেই বিপুল ঋণ নিয়ে আজ শ্রীলঙ্কার এমন ভরাডুবি হয়েছে। চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের এই সময়ে চিনের জাহাজের শ্রীলঙ্কার দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যটা কী, সে নিয়েই চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি। আগামী ১১ অগস্ট হামবানতোতা বন্দরে পৌঁছতে পারে চিনের ইউয়ান ওয়াং ৫ জাহাজটি। শ্রীলঙ্কার ওই বন্দর ব্যবহার করেই ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে স্পেস ট্র্যাকিং এবং স্যাটেলাইট কন্ট্রোলের কাজ করবে জাহাজটি।
শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে । তবে রাজাপক্ষের আমলে এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব দীর্ঘ দিন ধরেই চাপে রেখেছিল ভারতকে। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ভুলে পরিবারতন্ত্রের পথে হাঁটছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ফলে, দিল্লির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর। ক্রমশ চিনের দিকে ঝুঁকে পড়েন রাজাপক্ষে। কলম্বোয় নতুন রাজনৈতিক জমানায় এই অস্বস্তিকে কাটিয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তার মধ্য়েই ফের চিন নাক গলাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।