ইউক্রেইনীয় বাহিনীর ছোড়া মার্কিন এইচআইএমএআরএস ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ৪০ ইউক্রেইনীয় বন্দি নিহত হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইউক্রেইনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার রুশ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আরও ৭৫ বন্দি আহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধক্ষেত্রের এসব প্রতিবেদন যাচাই করতে পারেনি।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেইন সবচেয়ে বড় পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউক্রেইন জানিয়েছে, দক্ষিণে খেরসন শহর এবং নিকটবর্তী আরেকটি শহরের আশপাশে রাশিয়ার পাঁচটি অবস্থানে তাদের বিমানগুলো আক্রমণ চালিয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিমা শক্তিগুলোর সরবরাহ করা দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেইন খেরসন অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নিপ্রো নদীর তিনটি সেতু প্রায় ধসিয়ে দেয়। এতে নদীর পশ্চিম তীরে রুশ বাহিনীর সরবরাহ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, এই কৌশলে খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার বাহিনীগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে শুরু করেছে।
এতে খেরসন শহর রাশিয়ার দখলে থাকা অন্যান্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওই অঞ্চল থেকে রাশিয়ার বাহিনীগুলোকে হটিয়ে দিতে ইউক্রেইন পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। এ লড়াইয়ে ওই অঞ্চলের উত্তরপ্রান্তের কিছু ছোট বসতি তারা পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি ইউক্রেইনের।
দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কেও দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। বুধবার রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বাহিনীগুলো জানায়, তারা দোনেৎস্কের সোভিয়েত আমলে নির্মিত কয়লাচালিত ভুগলেগিরস্ক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করেছে।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে স্বীকার করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি অ্যারিস্তোভিচ।
ইউক্রেইনকে ‘নব্য-নাৎসী’ মুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণ করতে তারা প্রতিবেশী দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বলে দাবি রাশিয়ার। অপরদিকে রাশিয়া ইউক্রেইনে বিনা উস্কানিতে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ কিইভ ও তার পশ্চিমা মিত্রদের।
রাজশাহীর সময়/এম