মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ফখরুল ইসলামকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েও রক্ষা পায়নি হত্যাকারীরা। ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে নিহতের ছেলেসহ ৪ আসামিকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নিহত অটোরিকশা চালক ফখরুল ইসলামের ছেলে উজ্জল আহমদ, সোহাগ মিয়ার ছেলে সেলিম উদ্দিন,সুনু মিয়ার ছেলে মস্তাব উদ্দিন ও বকুল মিয়ার ছেলে কবির আহমদ।
নিহতের বোন সুফিয়া বেগম থানায় করা হত্যা মামলার সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার ইটাউরী গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ফখরুল ইসলামের স্ত্রী দিলারা বেগম পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে ফখরুল ইসলামের দাম্পত্য কলহ চলছিল। ছেলে উজ্জল আহমদ মায়ের পক্ষ অবস্থান নেয়।
মঙ্গলবার ভোরবেলা গ্রামের সুনু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির লিচু গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ফখরুল ইসলামের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের স্ত্রীর প্রেমিক ও ছেলে এটিকে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়। এদিকে পুলিশ এদিন সকালে নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ গাছ থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন সুফিয়া বেগম বুধবার(২৭ জুলাই) রাতে নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম, ছেলে উজ্জল আহমদ, পরকিয়া প্রেমিক সেলিম উদ্দিন, মস্তাব উদ্দিন এবং রহমত আলীর নাম উল্লেখ ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত
নিহতের বোন সুফিয়া বেগম অভিযোগ করেন তার ভাইয়ের স্ত্রী দিলারা বেগম, তার ছেলে ও পরকিয়া প্রেমিককে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লেচু গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে সন্দেহে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ আসামিকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যার মোটিভ উদঘাটনে আসামীদের রিমান্ডে নেয়া হবে। নিহতের স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।