স্ত্রীকে টিকটক ভিডিও করে পোষ্ট করতে বার বার নিষেধ করতেন স্বামী রাহুল। কিন্তু কোন ভাবেই সেই কথা কানে তুলতেন না স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত সেই ঝামিলা বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। তারপরও সাবে স্ত্রীর কর্মকান্ড অব্যাহত থাকে। কিন্তু সাবেক স্বামী তার সিদ্ধান্তে অটল। টিকটক ভিডিওি বানানো এবং পোষ্ট করা যাবে না।
অবশেষে এই ঝামিলার ইতি টানতে ৭০০ কিলোমিটার গাড়িয়ে চালিয়ে গিয়ে সাবেক স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে যুবক রাহুল। স্ত্রীকে খুনের পর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন। শুধু একটাই কারন টিকটক ভিডিও বানানোর দায়ে প্রাণ হারাতে হল সেই যুবতীকে। রক্ষণশীল স্বামীর সঙ্গে তাঁর এই নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হত। সেই ঝামেলা গড়িয়েছিল বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত।
আমেরিকার লিওনিসেতে ঘটে ঘটেছে এমন হাড়হিম ঘটনা। ২৯ বছর বয়সী সানিয়া খান খুন হলেন স্বামীর হাতে। তাঁর স্বামী রাহিল আহমদ ৭০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে গিয়ে তাঁকে হত্যা করে।
পেশাদার ফোটোগ্রাফার ছিলেন সানিয়া। তিনি নিয়মিত টিকটকে ভিডিও পোস্ট করতেন। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ অ্য়াক্টিভ থাকতেন। আর সেটাই অপছন্দ ছিল তাঁর স্বামীর। সানিয়াকে এই নিয়ে বারবার বারণ করতেন রাহিল। তবে সানিয়া তাঁর কথা শোনেননি।
রাহিল পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে সানিয়ার বিয়ের পর সম্পর্ক এক বছরও টেকেনি। গত মে মাসে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তার পরও সানিয়া ভিডিও পোস্ট করায় বারবার বারণ করতেন রাহিল। শেষ পর্যন্ত তিনি যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন, তা আন্দাজ করতে পারেননি কেউ।
সানিয়ার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই রাহিল খুন করার ছক কষছিলেন। এর আগে একবার প্রাক্তন স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়েছিলেন তিনি। তবে সেদিন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর পর দিনকয়েক আগে সাইনার একটি টিকটক ভিডিও দেখে রেগে আগুন হয়ে যান রাহিল।
৭০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে গিয়ে প্রাক্তন স্ত্রীকে দুটি গুলি করেন রাহিল। তার পর নিজেও আত্মঘাতী হন। সব থেকে অবাক করা ব্যাপার, সেই সময় সানিয়ার বাড়ির সামনে দুজন পুলিশও ছিলেন। তাঁরাই প্রথম গুলির শব্দ পান। ছুটে গিয়ে দেখেন ততক্ষণে সানিয়াকে গুলি করে রাহিল নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন।