২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৪৩:২৭ অপরাহ্ন


বাদাম বিক্রেতা থেকে কোটিপতি মাদক কারবারি; মদভর্তি কন্টেইনার জব্দ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২২
বাদাম বিক্রেতা থেকে কোটিপতি মাদক কারবারি; মদভর্তি কন্টেইনার জব্দ বাদাম বিক্রেতা থেকে কোটিপতি মাদক কারবারি আজিজুল ইসলাম।


বাদাম বিক্রেতা থেকে কোটিপতি মাদক কারবারি। অনেকটা সিনেমার ভিলেনদের স্টাইলেই যেন উত্থান নব্য আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের। দুই ছেলেকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাদকের বিশাল সাম্রাজ্য। 

‘মায়ের স্বপ্ন গোল্ডেন গার্ডেন’ নামের অট্টালিকা নানা ঘটনার সাক্ষী। কথায় কথায় বলতেন প্রাথমিকের গণ্ডি পার হওয়ার পর অভাবের তাড়নায় বিক্রি করেছেন বাদাম-আইসক্রিম। ধীরে ধীরে টাকার পাহাড় গড়ে তুললেও এসবের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিলেন এই নব্য আওয়ামী লীগার। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সহসম্পাদক ও শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তিনি। আবার আওয়ামী লীগের টিকিটেই দুদফা ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে অবৈধ অর্থের জোরে নানাভাবে নিপীড়ন করেছেন স্থানীয় ত্যাগী নেতাদের। তার এই অট্টালিকার ভেতরেই এক ভাড়াটিয়ার মৃত্যু নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলাও হয়েছে। 

অনেকটা বাংলা সিনেমার ভিলেনদের স্টাইলে উত্থান মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের। দুই ছেলেকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাদকের বিশাল সাম্রাজ্য। তবে র‌্যাবের অভিযানে বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল। গ্রেফতার করা হয়েছে তার ছোট ছেলে আহাদকে। যদিও বড় ছেলে আশিকসহ দুবাই পালিয়ে গেছেন আজিজুল। পলাতক রয়েছেন তার আরেক ছেলে এবং স্ত্রী।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে স্ক্যানিং ছাড়াই দুবাই থেকে পোশাক কারখানার পণ্য আমদানির মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হচ্ছিল মদ। দুই কন্টেইনারে থরে থরে সাজানো মদের বোতল। পরে আরও তিন কন্টেইনার মদসহ দেশের সর্ববৃহৎ মদের চালান উদ্ধার হয় মুন্সীগঞ্জে নেয়ার পথে। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে আজিজুলকে প্রধান আসামীর করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আজিজুল ইসলামের পক্ষ থেকে আহাদ এবং তার ইমিডিয়েট একজন বড় ভাই রয়েছে আশিক, তারা এই মালামালগুলো মুন্সীগঞ্জে তাদের একটি ওয়ারহাউস আছে সেখানে রিসিভ করার কথা।

স্থানীয়রা জানায়, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ষোলঘরে রাতের বেলা কন্টেইনারে হাজার কার্টুন লোড-আনলোড করা হতো। তবে এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এখনই মুখ খুলতে নারাজ।

রাজশাহীর সময়/এম