হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা এবং সুখ ও দুঃখ প্রতিটি মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী। মুমিন সব সময় আল্লাহর প্রতি রাজি এবং খুশি। সে সব সময় মহান রবের কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করে। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা এবং সুখ-দুঃখে মুমিন আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতায় দোয়া করে। কী দোয়া করে মুমিন?
আনন্দ ও বেদনার পুরো সময়টিতে নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হাদিসে দিকনির্দেশনা এসেছে। সব সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও আশ্রয় চাওয়ার দোয়া শেখানো হয়েছে। তাহলো-
اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَالُكَ الْعَدْلَ فِىْ الْغَضَبِ وَ الرِّضَا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায়ই মধ্যমপন্থা কামনা করি।
কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা হলো, সব সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা। মহান রবের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। কোরআনে এসেছে-
সুন্নায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে উপদেশ দেয়া হয়েছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
لِّکَیۡلَا تَاۡسَوۡا عَلٰی مَا فَاتَکُمۡ وَ لَا تَفۡرَحُوۡا بِمَاۤ اٰتٰىکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یُحِبُّ کُلَّ مُخۡتَالٍ فَخُوۡرِۣ
‘এটা এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন তার জন্য তোমরা আনন্দিত না হও। গর্বকারী ও অহংকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ (সুরা হাদিদ : আয়াত ২৩)
মুমিন মুসলমানের উচিত নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের উপর আমল করা। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে দু’টি শব্দ উচ্চারণ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলো-
> দুঃখের সময় বোকামিসুলভ (হায়! হায়!) শব্দ
> আর অন্যটি হলো (আনন্দের অতিমাত্রায়) পাপসুলভ (হুররে! বা হাহ্হা) শব্দ।
(আল্লাহর পক্ষ থেকে) নেয়ামত পেলে (পাপ হয় এমন শব্দে) ‘হুররা বা হাহ্হা’ করা। আর বিপদের সময় বোকিামিবশতঃ হায়!, আফসোস করা। অর্থাৎ বড় নিঃশ্বাস ফেলা।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা এবং সুখ ও দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা ও ধৈর্য ধারণ করার মাধ্যমে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার তাওফিক দান করুন। গর্ব ও অহংকার থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। দুঃখ ও আনন্দের অতিশয্যে তাঁর অবাধ্যতা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময়/এম