কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুর করা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের ঘটনায় তাকে শোকজের বিষয়টি হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৫ জুলাই) আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমি উদ্দিন মানিক আদালতকে জানান, আমি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, গালাগালির ঘটনায় টেকনাফের ইউএনও কায়সার খসরুকে শোকজ করেছেন জেলা প্রশাসক। তাকে সাত দিনের মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এই কমিটি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন।
তখন আদালত বলেন, ঠিক আছে। তাহলে তদন্ত প্রতিবেদন আসুক। প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী আদেশ দেব। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।
এর আগে, গত রোববার (২৪ জুলাই) আদালত বলেন, ‘একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর। কোনো 'রং হেডেড' ব্যক্তি ছাড়া কেউ এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারেন না। টেকনাফের ইউএনও মাস্তানদের চেয়েও খারাপ ভাষায় গালি দিয়েছেন।’
দুদক আইনজীবী বলেন, একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর। সাংবাদিক দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েছিলেন, এ জন্য ইউএনও তাকে গালিগালাজ করেছেন।
হাইকোর্ট বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের এসব কাজে উৎসাহিত করা উচিত। এ সময় সাংবাদিককে গালিগালাজের ঘটনায় ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না তা রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রাজশাহীর সময়/এম