২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০১:৪২:৫১ অপরাহ্ন


রাজধানীতে ফের ডেঙ্গুর প্রকোপ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৭-২০২২
রাজধানীতে ফের ডেঙ্গুর প্রকোপ ফাইল ফটো


রাজধানীতে আবারও জেঁকে বসেছে ডেঙ্গু। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫২ জন। তবে জুলাইয়ে এর প্রভাব অনেক বেড়েছে। শেষ ১৮ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮১২ জন। চলতি বছর ৫ জনের মধ্যে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে। মশক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি লক্ষণ দেখা মাত্রই পরীক্ষার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

২৩ বছর বয়সী তানজিলা জ্বরে আক্রান্ত হন গত ১৬ জুলাই। জ্বর শুরুর পর চার দিন স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে বাসাতেই চিকিৎসা নেন। তবে একপর্যায়ে জ্বরের পাশাপাশি শুরু হয় শারীরিক দুর্বলতা। তখন বাধ্য হয়েই ভর্তি হন রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে।

তানজিলার মতো ডেঙ্গু নিয়ে মুগদা হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি আছেন ২৮ জন রোগী। যাদের অধিকাংশই দক্ষিণ সিটির মাণ্ডা ও মুগদা এলাকার বাসিন্দা এবং হাসপাতালে আসতে দেরি করেন অনেকেই।

পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫২ জন। আর জুলাইয়ের শেষ ১৮ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮১২ জন। অন্যদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর মারা গেছেন পাঁচজন, যাদের মধ্যে চারজনই জুলাই মাসে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। এ সময়ে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭১৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৪৯৮ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৯ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩৫ জন।

এ অবস্থায় মশক নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। এডিস নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ ড. এ বি এম আবদুল্লাহর।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, কোনো অবস্থাতেই কেউ যেন অবহেলা করে ঘরে বসে না থাকেন। যে কোনো ধরনের জ্বর হোক না কেন সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও জোর দেন তিনি। বলেন, ‘ঘরে বা ছাদে রাখা গাছের টব, এসির নিচে, ফ্রিজের নিচে তিন থেকে পাঁচদিনের বেশি জমা পানি রাখা যাবে না। এগুলো নিজেদেরকেই মেনে চলতে হবে। জনগণের সচেতনতাও এ বিষয়ে খুব জরুরি। নগর কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।’

রাজশাহীর সময়/এএইচ