২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৮:২৭:২০ পূর্বাহ্ন


পুলিশের সোর্স হয়ে গেলেন এআইজি!
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২২
পুলিশের সোর্স হয়ে গেলেন এআইজি! পুলিশের সোর্স হয়ে গেলেন এআইজি! কোটি টাকা আত্মসাৎ


একসময় কাজ করতেন পুলিশের সোর্স হিসেবে। রপ্ত করেন পুলিশি কার্যক্রম। পরে শুরু করেন প্রতারণা। নিজেকে পরিচয় দেন এআইজি হিসেবে। আসামি ছাড়ানো, পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি, পদোন্নতি করিয়ে দেয়া এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তদবিরের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করা গোপালগঞ্জের গালিব দুই সহযোগীসহ এখন কারাগারে।

অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় গোপালগঞ্জের এয়ার আলীর ছেলেকে। ছেলেকে ছাড়াতে কথা বলেন একই জেলার গালিব চৌধুরীর সঙ্গে। ৮৫ হাজার টাকায় হয় দফারফা।

ভুক্তভোগী বলেন, গালিব জানালেন যে আমাদের লোক আছে। ছেলেকে ছাড়ানো যাবে। টাকা লাগবে ৮৫ হাজার।

গালিব চৌধুরীর প্রতারণার শিকার নিটল নিলয় মোটরস কর্তৃপক্ষ। কিস্তিতে কেনা গাড়ির টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ এমন ব্যক্তিদের হয়ে পুলিশ পরিচয়ে সুপারিশ করতেন গালিব।

এমন বিভিন্ন অভিযোগে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে গালিব চৌধুরী ও তার দুই সহযোগীকে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি পরিচয়ে থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোন দিতেন তিনি। একসময় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করা গালিব এআইজি পরিচয়ে আসামিদের ছাড়ানো, পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি ও পদোন্নতি করিয়ে দেয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার তারিক বিন রশিদ বলেন, তার মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টগুলোতে গত ছয় মাসেই প্রায় অর্ধকোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

পুলিশ বলছে, আসামি ছাড়ানো ছাড়াও তিনি তক্ষক ও সীমান্ত পিলার কেনাবেচার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে গালিব রাজধানীর অনেক যানবাহনের মালিকের কাছ থেকে টাকা নিতেন। ওই সব যানবাহন পুলিশের তল্লাশিতে আটকা পড়লে ভুয়া এআইজি পরিচয়ে ফোন করে ছাড়িয়ে দিতেন গালিব।

তারিক বিন রশিদ বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এআইজি পরিচয় দিয়ে গাড়িগুলো ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতেন গালিব। ওই গাড়িগুলোর সঙ্গে তার মাসিক ভিত্তিতে টাকাপয়সা লেনদেন হতো। ওই টাকার বিনিময়ে তিনি এসব কাজ করে থাকেন।

নারীদের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সখ্য গড়ে ব্ল্যাকমেল করতেন গালিব ও তার সহযোগীরা।

রাজশাহীর সময়/এএইচ