ঝালকাঠির নলছিটিতে এক প্রতিবন্ধীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০/০৬/২২ইং তারিখে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১০৬/২০২২। মামলার বিবরনে জানা যায়, বদী নলছিটি উপজেলার মোল্লার হাট ইউনিয়ন'র পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের নিজের বাড়িতে ট্রেইলারী কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। স্বামী একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পা হারান। দুটি সন্তান নিয়ে স্বামীর একখণ্ড ভিটে বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে মাটি কামড়ে আঁকড়ে ধরে আছেন। ইতোপূর্বে আসামী বাদীর একই গ্রামের প্রতিবেশী পাশের বাড়ির লোক মাসুদ হাওলাদার গং প্রায়ই বাদিকে কুকর্মের প্রস্তাব দিত। কু-দৃষ্টিতে ও অত্যাচারে নাচন মহল বাজারের দোকান ছেড়ে দিয়ে নিজের বাড়িতে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এদিকে মাসুদের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বাদী একা থাকাকালীন ইজ্জত নষ্ট করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং ঘটনার দিন ১৮ জুন-২০২২, শনিবার সকাল অনুমান ৮ টার দিকে বাদী বাসায় সেলাইয়ের কাজ করা অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওতপেতে থেকে আসামিরা ঘরের সামনের বারান্দায় একা পেয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় অসহায় বাদী ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টায় আকুতি মিনতি করে ও ডাক চিৎকার দিলে এসিড মেরে চেহারা ঝলসাইয়া দেয়ার হুমকি দেয়। ধস্তাধস্তি ও ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে সাক্ষীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে অভিযোগ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নলছিটি উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদা লস্কর কে নির্দেশ দেন।
সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক নলছিটি উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃখলিলুর রহমান মৃধা বলেন বাদী কর্তৃক নলছিটি থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ পত্রটি নলছিটি থানা পুলিশের এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা উচিত ছিল। সাধারণ মানুষের এক মাত্র ভরসা পুলিশ প্রশাসনকে আরো দায়িত্ববান হতে হবে।