চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের নাবালিকা কিশোরী গাজীপুর থেকে উদ্ধারসহ ধর্ষক ও অপহরণকারী রেজাউল ইসলাম(২৮) র্যাবের হতে আটক।
অপহৃত ভিকটিম ১১ বছর বয়সই ও মাদ্রাসায় পড়–য়া একজন ছাত্রী। মা-বাবার অভাব অনটনের সংসার, বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে ভিকটিমের পরিবার চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন এগারো মাইল পূর্ব দেওয়ান নগর এলাকায় বসাবসরত। অভাবের সংসারে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ দিতে না পারায় ভিকটিম মাদ্রাসা ছেড়ে বর্তমানে তাদের বাসায় অবস্থান করত। এরই মধ্যে গত ২২ জুন ২০২২খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ০৯০০ ঘটিকায় ভিকটিম তার বর্তমান ঠিকানার বাসা হতে নিখোঁজ হয়। ভিকটিমের মা-বাবা তাদের মেয়েকে অনেক খোঁজা-খুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানার নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দারেয় করে, যার নং-১৩১১ তারিখ-২৩ জুন ২০২২ খ্রিঃ।
ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাটি রুজু হওয়ার পর রুজুর কপিসহ ভিকটিমের মা র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে বিষয়টি অবগত করে। ভিকটিম ১১ বছরের কিশোরী হওয়ায় ও তার মায়ের আবেদনের বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অত্যন্ত মানবিকতার সহিত আমলে নিয়ে অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত অপহরণকারীকে গ্রেফতারের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৯টায় হাটহাজারী পৌরসভাধীন হাটহাজারী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন রাঙ্গামাটি রোড কুটুমবাড়ী রেস্তোরার সামনে হতে রেজাউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ভিকটিম নাবালিকা মেয়েকে বিয়েসহ বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে এবং আসামী ভিকটিম’কে নিয়ে তার বর্তমান ঠিকানা সাং- বালিয়ারা ডেগেরছালা সালাম হাজীর বাড়ীর নিচ তলার ভাড়াটিয়া হোল্ডিং নং ১৫/১৮, থানা- গাছা, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টা র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রেজাউল ইসলাম(২৮), পিতা- আজিজুর রহমান, সাং- চারিগ্রাম, পোঃ ঢাকি, থানা- মিঠামইন, জেলা- কিশোরগঞ্জ বর্তমানে বালিয়ারা ডেগেরছালা সালাম হাজীর বাড়ীর নিচ তলার ভাড়াটিয়া, হোল্ডিং নং- ১৫/১৮, ওয়ার্ড নং- ৩২, থানা- গাছা, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত অপহরণের কথা নিজ মুখে স্বীকার করে এবং তার হেফাজত থেকে ভিকটিমের মায়ের সনাক্ত মতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে সে ভিকটিমকে অপহরণ করেছে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে আটকে রেখে ও বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।