বাংলাদেশের গর্ব এখন পদ্মা সেতু। সেই সেতু নিয়ে গোটা দেশের মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। আর সেই সূত্রেই পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশের মানুষের কাছে যেন অবশ্য গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র ঘোরার জন্য পদ্মা সেতুতে ওঠা, ছবি-সেলফি তোলা, সময় কাটানো বাদ থাকছে না কিছুই।
আর তাতে নানা সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে পদ্মা সেতুতে। ইতিমধ্যেই ছবি, সেলফি তুলতে গিয়ে পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাই এবার আরও সতর্ক প্রশাসন। সাধারণ মানুষ যেন পদ্মা সেতুতে চলাচলের সময় নির্ধারিত আইন মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে সোমবার থেকে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরবাইক প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হেঁটেও উঠতে দেয়া হচ্ছে না কাউকে। রবিবার সেতুর ওপর রাস্তার পাশে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও সোমবার বলতে গেলে খালিই ছিল রাস্তা। পুরো সেতু এলাকাতেই সোমবারের চেয়ে বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর ওপর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে দুই বাইক আরোহী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে সেতু পারাপারের জন্য আসেন, কিন্তু তাদের সবাইকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে নিরাপত্তা ইস্যুতে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হলেও রবিবার সেতুর পাশাপাশি ফেরিও চালু করা হয়।