২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৬:৪৫:৩২ অপরাহ্ন


সুনামগঞ্জে শিশুসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২২
সুনামগঞ্জে শিশুসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার ফাইল ফটো


সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় দুই শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মৃতরা হলেন- জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপড়া গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে সোহান মিয়া (৬), একই ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আফরোজা বেগম (৪), জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের রহমত উল্লাহ’র ছেলে কয়েস মিয়া (২০) ও ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের অজ্ঞাত ব্যক্তি।

আজ বুধবার (১ জুন) সকালে ও গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- অনেক খোঁজাখুজির পর গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পেকপড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুকন্যা আফরোজা ও সোহান মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে বাড়ির উঠানে দুজন খেলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। মৃত দুই শিশু সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন।

এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার কবিরপুর গ্রামের কয়েস মিয়া দুপুরে হাওর থেকে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরে এসে খাওয়া শেষে নিজ কক্ষে যায়। এরপর বিকেল পর্যন্ত তার কোন সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন অনেক ডাকাডাকি পর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে গলায় উড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশ ঝুলে থাকতে দেখতে পায়। কয়েস মিয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর খবর তাৎক্ষনিত ভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন এসে তার বাড়িতে ভীড় জামায়।

অপরদিকে ছাতক উপজেলার মামুদপুর গ্রাম সংলগ্ন চাতল হাওরের পানিতে অর্ধগলিত এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে এউপজেলার জাউয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে  লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু মৃতদেহ বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ ধারণা করছে বন্যার পানির সাথে এ লাশ ভেসে এসেছে।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর, জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত সুশংকর পাল ও জাউয়া তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পৃথক ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।        

রাজশাহীর সময়/এইচ