ফেনীতে গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া সাবেক ক্রিকেটার কাউছার আলম তৈমুর চৌধুরী মারা গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী খাদিজা বিনতে শামস রুপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, তৈমুর ও তার স্ত্রীর সাথে গত বেশ কিছু দিন থেকে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হতো। ছোটখাট বিষয় নিয়েও বাকবিতণ্ডা লেগে ছিল। গত ১১ এপ্রিল ভোরে তৈমুর চৌধুরীর ঘর থেকে চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান তৈমুরের বুক-পেটসহ একটা অংশ ঝলসে গেছে। তাকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার অবস্থা দেখে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার বেলা ১১টায় তিনি মারা যান।
কাউছার আলম চৌধুরী তৈমুর ফেনী শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবু তৈয়ব চৌধুরীর বড় ছেলে। তৈমুর পাড়ায় ও বন্ধুদের কাছে ভদ্র-নম্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তৈমুর চৌধুরীর ভাই তানজিম চৌধুরী জানান, তৈমুরকে গরম পানিতে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় গত শনিবার বিকেলে তিনি নিজে স্ত্রী খাদিজা বিনত শামস রুপাকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতেই স্ত্রীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর ফেনী থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় স্ত্রী খাদিজা বিনত শামস রুপা তার স্বামীকে গরম পানি মারার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি, সম্পত্তির লোভে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: নিজাম উদ্দিন স্বামীকে গরম পানিতে ঝলসে দেয়ার অভিযোগে রূপা চৌধুরীকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার তাকে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।