ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের পুরো এলাকা বরফের চাদরে ঢেকে গেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কার্গো টার্মিনালের ছাদ ধসে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। উপায় না পেয়ে অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির কার্যক্রম। গত সোমবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে ইউরোপ ও এশিয়া যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আকাশপথ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর এবার প্রথম বন্ধ রাখতে হচ্ছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই বিমানবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীরা।
সরকারের তরফ থেকে গাড়ি চালকদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। জানা গেছে, গত বছর তিন কোটি ৭০ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দরে যাতায়াত করেছেন।
বরফে ঢাকা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
ভয়াবহ তুষারপাতে বিধ্বস্ত তুরস্কের বৃহত্তম শহর। পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়েছে রাস্তাঘাট। রাস্তা, হাইওয়ে, পার্কিং-লট সব সাদা হয়ে গেছে বরফ জমে। শহরের এক কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দা প্রথমে তুষারপাতকে ভালোভাবে নিলেও এখন চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন।
এছাড়া, ভারী তুষারপাতের কারণে ট্রাফিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাইওয়েগুলো পার্কিং লটে পরিণত হয়েছে।
বরফে ঢাকা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
এদিকে, গ্রিসে মাইনাস ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কারণে পার্লামেন্ট অধিবেশন বাতিল এবং স্কুল ও টিকাদান কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর আশেপাশে শতশত মোটর আরোহী তাদের গাড়িতেই আটকা পড়েছেন।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রবল তুষার ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানী এথেন্স। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এথেন্সের ন্যাশনাল অবজারভেটরির রিসার্চ ডিরেক্টর কোস্টাস লাগোয়ার্ডোস এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ১৯৬৮ সালের পর থেকে এ ধরনের শীত দেখেনি রাজধানীর মানুষ। সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
রাজশাহীর সময় / এফ কে