রঙের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে ক্যানভাস। মর্মের রং চেতনার প্রতিচ্ছবি হয়ে এখানে প্রকাশ্য অবয়ব। বেজে চলছে আরম্ভের বাজনা। পাল্লাটা এখন কেবল সময়ের সঙ্গে।
নিয়ম মেনে চারুকলার শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আর দায়িত্বে এখন চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি পর্ব। বাঙালি সংস্কৃতির নানা উপাদান এখানে শিল্পের ভাষায় হয়ে উঠছে রঙিন, যা কিছু সংশ্লিষ্ট বাঙালির সঙ্গে তারই যাত্রা এখানে সত্য আর সুন্দরের দিকে।
এক শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এটা হচ্ছে প্রতীকী একটা আনন্দ মিছিল। আনন্দের মাধ্যমে মঙ্গল কামনা করা।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। এটা হচ্ছে ভালো লাগার প্রথম জায়গা। বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়ার পর এটা এখন সবার আবেদনের জায়গা। সেখানে সারাদেশের গুটিকয়েক প্রতিনিধি হয়ে আমরা যে এই কাজটা করতে পারছি এটা ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার।
মাটির সরায় তুলির আঁচড়, কাগজের পাখি, বাঘ, রাজা, রানি আরও কত কী? প্রতীক হয়ে, প্রতিবাদের ভাষা হয়ে এখন বাস্তব।
এক শিক্ষার্থী বলেন, এবার চারটা প্রতীকী থাকছে। মাছ, পাখি, ট্যাপা পুতুলের আদলে তৈরি করা হচ্ছে একটা আর ঘোড়া থাকছে।
আরেকজন বলেন, বৈশাখ এসে গেছে মনটা আসলে চারুকলাতেই পড়েছিল। বৈশাখ উৎসবকে কেন্দ্র করে পড়েছিল ওই টান থেকেই আসলে আসা।
বাঙালি সংস্কৃতিতে মঙ্গলের এই আবাহন ছাপ রেখে যায় দীর্ঘ উজ্জল রোদের মতো। বাংলা থাকুক সমৃদ্ধির ধারায় সংস্কৃতিক আবহে।
রাজশাহীর সময় / এম আর