০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০১:১৭:০৩ পূর্বাহ্ন


সাঁওতাল নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ৩ রাবি শিক্ষার্থীর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
এম. শামীম, রাবি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১১-২০২৪
সাঁওতাল নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ৩ রাবি শিক্ষার্থীর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সাঁওতাল নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ৩ রাবি শিক্ষার্থীর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ


সাঁওতাল নারীদের আর্থ সমাজিক উন্নয়নে  'নিশানদিহি' নামের একটি ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে হাতের কাজ ও কুটির শিল্পের নৈপুণ্যতায় অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিনজন তরুণ শিক্ষার্থী। 

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো: মাঈনুল ইসলাম, গ্রাফিক ডিজাইন,ক্রাফ্ট এবং হিস্টোরি অফ আর্ট বিভাগের নিশাত আনজুম এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আখলিমা আক্তার শিলা এই উদ্যোগ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করছেন। 

নিশানদিহির আওতায় রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার টেমা নামক সাঁওতাল গ্রামে ২০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নারীদের বিভিন্ন ধরনের গহনা, হাতের কাজ ও কুটিরশিল্পের নৈপুণ্য শেখানো হয়েছে, যা তারা স্থানীয় ও জাতীয় বাজারে বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবেন। 

প্রোজেক্ট নিশানদিহির অন্যতম উদ্যোক্তা আখলিমা আকতার শিলা জানান, "সাঁওতাল নারীদের উন্নতি সম্ভব, যদি তাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি মেনে নতুন সুযোগের দিকে পথপ্রদর্শন করা হয়। নিশানদিহি প্রজেক্ট তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় বজায় রাখার দিকটি নিশ্চিত করছে।"

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রিন্স টুডু জানান, “আমাদের আদিবাসী ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনেক পুরোনো হলেও আমরা নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধার কারণে উন্নয়নের মূলধারায় প্রবেশ করতে পারিনি। প্রোজেক্ট নিশানদিহি আমাদের নারীদের জন্য নতুন এক কর্মসংস্থানের দিক উন্মোচন করেছে।”

এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। তারা বিশ্বাস করেন, সাঁওতাল নারীদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে নতুনভাবে পরিচিত করা সম্ভব হবে, যা তাদের জীবনমানের উন্নয়নসহ বৃহত্তর সমাজে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।