বাড়ি থেকে ডেকে সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসী ছানার নেতৃত্বে ৯/১০জন সন্ত্রাসী। তবে তারা জানে না কেন তারা সাংবাদিক দূর্জয়কে (২৮) পিটিয়ে আহত করেছে। এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুর এলাকায়।
শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মোঃ দূর্জয় খান, সে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুর এলাকার সাবেক এ্যসিল্যান্ড (ভূমি), মৃত কে এম আলতাফ হোসেনের ছেলে। এছাড়াও দূর্জয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের২০১৯/২০ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
আহত সাংবাদিক দূর্জয় খান জানায়, শুক্রবার রাতে জামালপুর এলাকার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী বিজয় মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে কথা আছে বলে ডাকে। তার ডাকে দূর্জয় বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় ওয়ারেন্টভূক্ত সন্ত্রাসী ছানার নেতৃত্বে ৯/১০জন সন্ত্রাসী দূর্জয়কে বুকের কাপড় ধরে বিজয়ের দোকানের পাশে ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তারা জিআইপাইপ, লাঠি, দ্বারা বেধড়ক পিটাতে থাকে। দূর্জয় রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে কিলঘুষি,লাথি মারতে থাকে। দূর্জয় তাদের নিকট মারপিটের কারণ জানতে চাইলে, তারা বলে তুই না বল্লে পাড়ায় পুলিশ ঢুকে আমাদের খুঁজে কেন? তাই আমাদের পালিয়ে থাকতে আর তোকে প্রাণে বাঁচতে হলে ৩লাখ টাকা দিতে হবে। সেই সাথে শর্ত জুড়ে দেয় পাড়া থেকে বাড়ি বিক্রি করে চলে যেতে হবে। পরে তারা গুরুতর আহত দূর্জয়কে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। সেখান থেকে দূর্জয় মুঠো ফোনে তার সহকর্মীদের জানায় তাকে উদ্ধার করার জন্য। পরে দূর্জয়ের সহকর্মী সাংবাদিকগণ বোয়ালিয়া বিভাগের পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আনিবার্ণ চাকমাকে বিষটি অবগত করেন। তিনি সাথে সাথে চন্দ্রিমা থানার ওসিকে দূর্জয়কে উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী ওসি’র নেতৃত্বে এসআই সিরাজুল ইসলাম, তালাইমারী ফাঁড়ী ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দূর্জয়কে উদ্ধার করে।
মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে ছানা ও বিজয় জানায়, আমাদের ভুল হয়েছে। মিমাংসা করে দেন। তবে মারপিট বা শত্রæতার কোন কারন জানাতে পারেনি তারা।
একাধীক স্থানীয়রা জানায়, জামালপুর এলাকার ভিতরের গলিতে অবস্থিত বিজয়ের দোকান ছানা ও বিজয়ের মিনি ক্যান্টম্যান্ট। সেখানে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে গড়ে তুলেছে তারা। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, হত্যা চেষ্টা, মারামারী ছানা ও বিজয় বাহীনির নিত্যদিনের ঘটনা। বিগত সরকারের আমলে তারা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকার ও ২৬ ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোয়েলের হেলমেট বাহীনি ছিলো তারা। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে বলেও জানান তারা।
জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোঃ মতিয়ার রহমান জানান, সাংবাদিক দূর্জয়কে মারপিট করে আটকিয়ে রেখেছিলো স্থানীয় দৃস্কৃতীকারীরা। পরে ডিসি স্যারের নির্দেশে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।