০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৫৯:৫০ অপরাহ্ন


প্রাণিসম্পদ অফিসে ঢুকে কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দিলেন খামারি
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১১-২০২৪
প্রাণিসম্পদ অফিসে ঢুকে কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দিলেন খামারি


রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. রিপন মোল্লা (৪৫) নামে এক খামারির বিরুদ্ধে। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় বালিয়াকান্দি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মানবেন্দ্র মজুমদার।
 
অভিযুক্ত মো. রিপন মোল্লা বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের মো. সিরাজ মোল্লার ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রিপন মোল্লা সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু হেনার কক্ষে ঢোকেন। এসময় তিনি চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত লোহার ধারালো দা এনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মানবেন্দ্র মজুমদারকে খুঁজতে থাকেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে না পেয়ে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু হেনাকে ভয়ভীতি দেখান ও হত্যার হুমকি দেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মানবেন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘রিপন মোল্লা নামে স্থানীয় এক খামারি আজ আমার অফিসে এসে আমাকে না পেয়ে আমার স্টাফদের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেন। তার অভিযোগ আমাদের অফিস থেকে তিনি নাকি কোনো সেবা পাননা। অথচ আমরা তার খামারে প্রয়োজনমতো পরিদর্শন ও সেবা প্রদান করি। তারপরও আমাদের প্রতি তার যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেটা আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে পারতেন।’
 
তিনি আরও বলেন, আমিসহ আমার অফিস স্টাফদের নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। কারণ যে ব্যক্তি সরকারি অফিসে প্রবেশ করে হত্যার হুমকি দেয় সে আরও অনেক কিছু করতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে মো. রিপন মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, আমি একজন খামারি। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের ভুল চিকিৎসায় আমার তিনটি গরু মরে গেছে। তাদের ফোন করলেও সময় মতো পাই না। সরকারিভাবে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেয়ার কথা থাকলেও আমার খামারে তা দেয়া হয় না। আমি অফিসে গিয়েছিলাম, তবে কোনো দা নিয়ে যাইনি। অফিস কক্ষের পেছনের এক ব্যক্তির হাত থেকে দা নিয়েছি। তবে কাউকে হুমকি দেয়ার উদ্দেশ্যে না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
 

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, হত্যার হুমকির অভিযোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থানায় জিডি করেছেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।