২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০২:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন


বড়পুকুরিয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সংবাদ সম্মেলন
কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৪
বড়পুকুরিয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সংবাদ সম্মেলন বড়পুকুরিয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সংবাদ সম্মেলন


দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য ভূগর্ভে মাইন বিষ্ফোরণের কারণে খনিএলাকার ১২ গ্রামের ঘরবাড়ীসহ বিভিন্নপ্রতিষ্ঠানে ফটলে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার বৈগ্রাম বাজারস্থ সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা।

এসময় সাধারণ সম্পাদক আল বেরুনী, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, আব্দুর রহমান বাচ্চু, গোলাম রব্বানী, মনিরুজজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, আলী হোসেন, রবিউল ইসলাম মন্ডল, সাতার ইকবাল নয়ন, আবেদ আলী, সাইফুল ইসলাম সরকার, রেজাউল ইসলামসহ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, মাইন বিষ্ফোরণে মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে বিষ্ফোরণের কম্পনে খনিএলাকার ১২টি গ্রামের ঘরবাড়ীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে সংগঠন থেকে পরপর ৬ বার খনি কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সার্ভে করে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও খনি কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা ছয় দফা চুক্তির কথা বলেছিলাম, সেই ছয় দফা চুক্তি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ছয় দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে, কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে চাকরি দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১২টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে; তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে এবং সুপিয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে, মসজিদ, মন্দির, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করে দিতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যাদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে তাদেরকে কয়লা উৎপাদনের বোনাস অংশিদারি দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ৩০ বছরে বৈগ্রামসহ অন্যন্যা গ্রামগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে তারা কিছুই পায় নি। খনি কর্তৃপক্ষ এই এলাকার মানুষকে বোকা বানিয়েছে। তাই এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টামণ্ডলীর কাছে ন্যায় দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে, ৬ নভেম্বরে কয়লাখনির মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে; তিনি ফোন কল গ্রহণ করেন'নি। ##