২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন


নওগাঁয় জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান ২০২৪ অনুষ্ঠিত
অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১০-২০২৪
নওগাঁয় জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান ২০২৪ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান ২০২৪ অনুষ্ঠিত


ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই-ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নওগাঁর উপপরিচালক মোঃ আবুল কালাম আজাদ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নওগাঁ'র অতিরিক্ত উপপরিচালক, মোঃ খলিলুর রহমান, কৃষিবিদ মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ মেহেদুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই। 

ইঁদুর নিধন কর্মসূচির এবারকার প্রতিপাদ্য ছিল- ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক ভাই ভাই, ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ডিসপ্লে বোর্ডে ইঁদুর সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন কার্যাবলী দেখানো হয়। এ সময় দেখানো হয়, বাংলাদেশে মোট ১২ জাতের ইঁদুর আছে। ইঁদুরের বংশ বৃদ্ধির হার খুব বেশি। ইঁদুর বছরে ৬ থেকে ৮ বার বচ্চা দেয়। একজোড়া ইঁদুর থেকে বছরে ৩ হাজার ইঁদুর জন্ম হতে পারে। এদের জীবনকাল ২-৩ বছর। প্রধান ফসলগুলো ইঁদুর যেভাবে নষ্ট করে তার মধ্যে গমের ক্ষতি করে ৮-১২ ভাগ, আমন ধানের ক্ষতি করে ৫-৭ ভাগ ও শাকসবজির ক্ষতি করে ৪-৫ ভাগ।

সভায় ইঁদুর দমন অভিযান-২০২৪ সফলের জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশসমূহ হলো- ইঁদুর দমন অভিযানকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করে আরো বেগবান করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। জনগণের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলাসহ নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। শুধু মাস নয়, সারাবছর ইঁদুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। ইঁদুরের বংশ বিস্তার, ক্ষতির প্রভাব ও নিধন কৌশল পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি করা। স্থানীয় সরকারের সর্ব নিম্নস্তরে যেমন ওয়ার্ড/ইউনিয়নে ইঁদুর নিধনে বিশেষ কর্মসূচি নেয়া যেতে পারে। প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্তৃক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।

সবশেষে প্রধান অতিথি মো. জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অনুষ্ঠান শুরুর আগে আমাকে নিচ থেকে ইঁদুর মেরে আসতে বলেছিল কিন্তু আমি ভাবলাম একটা প্রাণী হত্যা করব এটা কেমন হয়। এখন অনুষ্ঠানে এসে দেখলাম ইঁদুর একটি খুবই ক্ষতিকর প্রানী তাই তাকে মেরে ফেলা উচিত। আমরা সবাই ইঁদুরের বংশবিস্তার সম্পর্কে সচেতন হবো এবং ইঁদুর নিধনের মাধ্যমে ফসলকে রক্ষা করব।