০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৫৯:০৬ অপরাহ্ন


অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের, আত্রাইয়ে পাকা সড়ক দেবে ধসে গেলো খালের মধ্যে
কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১০-২০২৪
অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের, আত্রাইয়ে পাকা সড়ক দেবে ধসে গেলো খালের মধ্যে অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের, আত্রাইয়ে পাকা সড়ক দেবে ধসে গেলো খালের মধ্যে


নওগাঁর আত্রাইয়ে পাকা সড়ক দেবে প্রায় তিন ফিট গভীর হয়ে খালের মধ্যে ধ্বসে গেছে। শনিবার ভোর রাতে সড়কের শলিয়া নামকস্থানে গাইড ওয়ালসহ ভেঙ্গে ধ্বসে যায়। এতে যানবাহন চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন,সড়কের কাজ করার সময় গোড়া থেকেই মাটি তুলে সড়ক নির্মানসহ নানা অনিয়মের কারনে সড়কটি ধ্বসে যাচ্ছে। 

স্থানীয় সুত্রে জানাগছে,উপজেলার আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের কালিকাপুর ইউনিয়নের কুশাতলা বাজার থেকে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ অভিমূখে সড়কটি গত এক বছর আগে এলজিইডি দপ্তরের আওতায় পাকা করণ কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ করার মাত্র এক বছরের মাথায় সড়কের শলিয়া নামকস্থানে গাইড ওয়াল ভেঙ্গে প্রায় ১০০ফিট পর্যন্ত সড়ক দেবে ধ্বসে গেছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

শলিয়া গ্রামের রুহুল আমিন তারেক,সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জানান,একটানা ভারী বর্ষনে গত বুধবার সড়কে ফাটল ধরে। এর পর শনিবার ভোরে গাইড ওয়াল ভেঙ্গে সড়কের অর্ধেক অংশ থেকে দেবে খালের মধ্যে ধ্বসে যায়। এতে কোন রকমে পায়ে হেটে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া যে কোন সময় বাঁকী অংশটুকুও ধ্বসে যেতে পারে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল একদম বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রামবাসীর অভিযোগ,সড়ক নির্মান করার সময় অন্যত্র থেকে মাটি না এনে সড়কের গোড়া থেকেই ভেকু মেশিন দিয়ে খালের মাটি তুলে ভরাট করা হয়েছে। ওই সময় গ্রামের বেশ কিছু লোকজন বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। তারা বলছেন, গ্রামের লোকজন তখনই বলেছিলেন সড়কের গাইড ওয়ালের গোড়া থেকে মাটি তুলে নির্মান করলে সড়ক ধ্বসে যাবে কিন্তু গ্রামবাসির কথা কেউ কানে নেয়নি। ওই সড়কের আরো বেশ কয়েক স্থানে ফাটল ধরেছে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছেন, স্কুল,ইউনিয়ন পরিষদসহ এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সড়ক। তাই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দ্রæত সড়ক মেরামতের দাবি জানান তারা।

আত্রাই উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইসমাইল হোসেন বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।