লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় জেলে ও নৌ-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দুপুরে নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সংঘর্ষ ও নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দিনগত রাতে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট এলাকার নদীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আমির হোসেন ভোলা সদর উপজেলার কুতুবপুরা মতলব মিয়ার ছেলে। এতে চার পুলিশসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
নৌ-পুলিশ জানায়, জাটকা সংরক্ষণে মেঘনায় দুই মাস মাছ ধরা বন্ধের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে শনিবার দিনগত রাতে নৌ-পুলিশ নদীতে অভিযানে নামে। টহল পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকায় পৌঁছলে সাতটি মাছ ধরার নৌকা দিয়ে তাদের ঘেরাও করা হয়।
এ সময় জেলেরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে লাঠি ও জালের কাঠি নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তিন রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। এ সময় পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম, মো. মহসীন, আনোয়ার, মোবারক, পুলিশের স্পিডবোট চালক ও জেলে আমির হোসেন আহত হয়। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে জেলে আমিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় তিনজন জেলে জানান, জেলে আমির হোসেন গুলিতে মারা গেছে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি করেছিল।
নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ১১ জেলেকে আটক করা হয়। তারা লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। জেলে আমির কী কারণে মারা গেছেন, মেডিকেল রিপোর্ট পেলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ