১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩৮:২৮ অপরাহ্ন


রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় নেই: উপদেষ্টা আসিফ
স্টাফ রিপোটার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৯-২০২৪
রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় নেই: উপদেষ্টা আসিফ রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় নেই: উপদেষ্টা আসিফ


শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। অনেকেই শুনতে চাচ্ছে আমাদের থেকে। এরআগে আমরা এটাও স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই রাজনীতিক দল খোলার কোন অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা আছেন তাদের ক্ষমতার অভিলাষ নেই।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলছি, সেটা ছিল একদফা সংস্কার। এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে। এক দফার মূল অংশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কার অত্যবশ্যকীয় সেগুলো করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে।

তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচন বা ক্ষমতার পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানে আসেনি। যদি আসত তাহলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত বলে আমি মনে করি। অভ্যুত্থানে হয়েছে স্পষ্টভাবে এই ফ্যাসিবাদী বিলুপ্তের জন্য। যে ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে, যদি এটার সংস্কার করে দিয়ে যেতে না পারি, আমরা মনে করি যেই সরকারি ক্ষমতায় আসুক, যে রাজনৈতিক সরকার এই অটোক্রাট একটা সিস্টেমের মধ্যে সে নিজেও অটোক্রাট হতে বাধ্য হবে। সে কারণে আমরা মনে করি, দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, পুনর্গঠনের যে প্রস্তাবনা মানুষের মধ্যে থেকে আসবে সেটার বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব হবে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, অনেকেই তা শুনতে চাচ্ছে আমাদের থেকে। এরআগে আমরা এটাও স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই রাজনৈতিক দল খোলার অভিপ্রায় আমাদের নেই।

এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যা আছেন তাদের ক্ষমতার অভিলাষ নেই। আপনারা জানেন, সবাই যার যার পেশাগত জীবন আছে। সবাই সেখানে ফিরে যেতে চাই। দেশের মানুষ আমাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটি যথাযথভাবে পালন করা, মানুষের আশা-আকাঙ্খার একটি প্রতিফল ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই মূল উদ্দেশ্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুর রহিম খানের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জান, আইএলও এর কান্দ্রি ডিরেক্টর টুওমো পুটিআইনেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে নবনির্মিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হতে চলেছে। দেশের শিল্প কলকারখানা সমূহে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এই প্রতিষ্ঠানটি।