২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০৫:০১ অপরাহ্ন


ভারতে স্কুলেই নার্সারির ২ পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৮-২০২৪
ভারতে স্কুলেই নার্সারির ২ পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতন ছবি: সংগৃহীত


বদলা নিতে উত্তপ্ত বদলাপুর। নার্সারির দুই শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙচুর চালায় স্কুলে। এরপরে অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে রেল রোকো অভিযানও চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটও। কী ঘটেছিল ওই দুই শিশুর সঙ্গে? এবার তা জানা গেল পুলিশি এফআইআর থেকে।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বদলাপুরে। কিন্ডারগার্টেনের দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ অগস্ট। পরেরদিন নির্যাতিত এক শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে তাঁর মা-বাবার সন্দেহ হয়। শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করায় যে ঘটনা তারা জানতে পারেন, তাতে শিউরে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তাঁরা। মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশে অভিযোগ জানায় ওই নির্যাতিত শিশুর পরিবার। শিশুর বয়ানের ভিত্তিতেই অপর নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন তাঁরাও জানতে পারেন যে স্কুলে তাঁদের সন্তানের সঙ্গে কী ঘটেছে।

পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, গত ১৩ অগস্ট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুলে ওই দুই শিশুকে পোশাক খুলিয়ে, তাদের উপরে শারীরিক নির্যাতন করে এক যুবক। নির্যাতিতা এক শিশু তাঁর পরিবারকে বলে, “দাদা (মারাঠিতে বড় দাদা) আমার জামা খুলে নিয়েছিল। তারপর গোপনাঙ্গে স্পর্শ করে।”

পরিবারের তরফেই শিশুটির মেডিক্য়াল টেস্ট করানো হলে, মেডিক্যাল রিপোর্টে জানা যায়, শিশুটির হাইমেন (গোপনাঙ্গের পর্দা) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পেতেই আরেক শিশুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্যাতিতা শিশুর পরিবার। প্রশ্ন করলে ওই শিশুও জানায়, তার সঙ্গে একই কাণ্ড ঘটিয়েছে স্কুলের ‘দাদা’।

এরপরই এক শিশুর পরিবারের এফআইআরের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই যুবক স্কুলে পরিচারকের কাজ করত। মূলত বাচ্চাদের দেখভালের দায়িত্বই ছিল তাঁর কাঁধে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৫(২) ধারা (১২ বছরের কম বয়সীকে ধর্ষণ), ৭৪ ধারা (সম্মানহানির উদ্দেশে বলপ্রয়োগ বা নির্যাতন), ৭৫ ধারা (যৌন নির্যাতন), ৭৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশি গড়িমসির অভিযোগও উঠেছে। নির্যাতিতা শিশুর পরিবারে দাবি, তারা গত ১৬ অগস্ট সকালেই পুলিশে অভিযোগ জানাতে যায়, কিন্তু প্রায় ১২ ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর, রাত ৯টা নাগাদ এফআইআর দায়ের করা হয়।