ইউরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। ড্রোন হামলার সতর্কবার্তায় ইজরায়েলের উত্তর দিকে ক্রমাগত সাইরেন বাজছে। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে বেশ কয়েকটি ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, লেবানন থেকে উত্তর ইজরায়েলে প্রায় ৪০টি রকেট এবং বেশ কয়েকটি ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে।
লেবানন থেকে ইজরায়েলের আকাশসীমায় বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক ড্রোনের প্রবেশ ঘটার কারণেই গ্যালিলি প্যানহ্যান্ডেল এবং গোলান হাইটসে সাইরেন বাজছিল। কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে সেনা।
আইডিএফ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত লেবানন থেকে উত্তর ইজরায়েলে ১১৫টিরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননের মাতমোরায় একটি বিল্ডিং থেকেই হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। ওই বাড়িতেই বেশ কয়েকজন হিজবুল্লাহ নেতাকে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে ক্রমাগত সাইরেন বাজানো মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করেছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। স্থানীয় মানুষকে বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খুব প্রয়োজন পড়লে সেনাবাহিনীর পরামর্শ নিয়ে বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লেবাননে থাকা হিজবুল্লাহ এবং ওই জাতীয় গোষ্ঠীগুলিই হামলা চালিয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত সেনা।
সম্প্রতি ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বেশ কিছু ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে। এই উত্তেজনা চলাকালীনই ইসরায়েল একটি আর্টিলারি হামলায় হিজবুল্লাহর তিন সদস্যকে হত্যা করে। এর জবাবে হিজবুল্লাহ ইজরায়েলি সৈন্যদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। এ ধরনের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, সীমান্তের পরিস্থিতি কতটা গুরুতর হয়ে উঠেছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়ছে।
আমেরিকা এই পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইজরাইল-লেবানন সীমান্তের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে তারা। পরিস্থতি আরও খারাপ হলে আঞ্চলিক ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই ঘটনাগুলি কেবল গাজার উপর চাপ কমানোর জন্য ভাবলে ভুল হতে পারে। নতুন কোনও সম্ভাবনার কথা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।