২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৫২:৫৫ অপরাহ্ন


থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৮-২০২৪
থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ছবি: সংগৃহীত


মাত্র ৩৭ বছর বয়সে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তিনিই থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন। রবিবার থাইল্যান্ডের রাজা নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়োগ করলেন। পেতংতার্ন বিতর্কিত প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিনের মেয়ে।

এদিন ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার পর একটি অনুষ্ঠানে রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক চিঠি গ্রহণ করেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রাও (৭৫) উপস্থিত ছিলেন। থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন। পেতংতার্নের কাকিমা ইংলাক থাইল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান সেথ্রা থাভিসিন। ঘুষের দায়ে জেলে যাওয়া এক অপরাধীকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মনোনীত করেছিলেন সেথ্রা। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। কয়েক দিন আগে থাভিসিনকে মসনদ থেকে সরিয়ে দেয় থাইল্যান্ডের আদালত। সেথ্রা থাভিসিনের মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর ফেউ থাই পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসাবে পেতংতার্নয়ের নাম অনুমোদন করা হয়।

গত কয়েক দশক ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে রাজত্ব করছে সিনাওয়াত্রা পরিবার। থাইল্যান্ডের স্কুলের পড়াশোনা শেষের পর উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটেনে যাব পেতংতার্ন। পরে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন। সিনাওয়াত্রার মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। এরপর পেতংতার্ন পা রাখেন রাজনীতির ময়দানে। ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে পেতংতার্নকে দলের নেত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এবার থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন পেতংতার্ন। স্রেথার অপসারণের পর থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়েছিল। পার্লামেন্টের ৪৯৩ আসনের মধ্যে তাঁর দল ও জোটের আসন ৩১৪। ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়ে, আর বিপক্ষে পড়ে ১৪৫টি।