২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:৪৬:৪৭ পূর্বাহ্ন


রাশিয়ার বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ এখন ইউক্রেনের হাতেই!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৮-২০২৪
রাশিয়ার বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ এখন ইউক্রেনের হাতেই! ছবি: সংগৃহীত


রাশিয়াকে পালটা মার দিয়ে রণক্ষেত্রের ছবি বদলে দিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। এবার রুশ ভূখণ্ডের প্রায় হাজার স্কোয়ার কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার দাবি জানাল কিয়েভ। ফলে প্রবল চাপে পড়েছে পুতিন বাহিনী।

দ্রুত কার্স্ক থেকে বাসিন্দাদের সরাচ্ছে রুশ প্রশাসন। আড়াই বছর পেরিয়ে গিয়েছে দুদেশের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের। গত কয়েকমাসে লড়াইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট খারকভ-সহ অন্যান্য জায়গায় আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে রুশ ফৌজ। কিন্তু পিছু হঠেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাঁধভাঙা জলের জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তার পর থেকে জারি রয়েছে লড়াই। দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ করার ফলে গত কয়েকমাস ধরে রণক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল কিয়েভকে। কিন্তু এখন তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যেভাবে পুতিন বাহিনী ইউক্রেনে ঢুকে অভিযান শুরু করেছিল এবার সেভাবেই কার্স্কে ঢুকে আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। বিবিসি সূত্রে খবর, কার্স্কে দুই সেনাবাহিনীর লড়াই সপ্তমদিনে পা রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের এক শীর্ষ কমান্ডার দাবি করেছেন, গত আড়াই বছরে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় আন্তঃসীমান্ত অভিযান। ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার স্কোয়ার কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে গিয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনের এই হামলা নিয়ে মুখ পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, এইভাবে আক্রমণ শানিয়ে ইউক্রেন আরও বেশি করে উসকানি দিচ্ছে রাশিয়াকে। এর ভালো হবে না। পাশাপাশি তিনি কার্স্ক থেকে ‘শত্রু’দের ছুঁড়ে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে সেখান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও ৫৯ হাজার জনকে দ্রুত চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট হয়ে উঠেছে কার্স্ক।

কয়েকদিন আগে মার্কিন গবেষণা সংস্থা দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার এক রিপোর্টে জানায়, দক্ষিণ রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলের ৩০ কিমি ভিতরে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। সেখানে হাজার খানেক সেনা ও দুডজন সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কবাহিনীও। এনিয়ে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, "ইউক্রেন এটাই প্রমাণ করছে যে আমরা ন্যায় পুনরুদ্ধার করতে পারি। আক্রমণকারীর উপর যেকোনও ধরনের চাপ তৈরি করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত।" রুশ ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিতেই হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। যার জন্য প্রস্তুত ছিল নাম মস্কো। তবে পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে রুশ ফৌজও। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে মিসাইল।