মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কালো মেঘ আরও ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। এবার ইজরায়েলের সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা। দ্য টাইমস অফ ইজরায়েলের কাছে হেজবুল্লা মদতপুষ্ট সংগঠন আল-মায়েদিনের তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইজরায়েল সেনাও।
সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য এই এই হামলা চালানোর দাবি উঠলেও ইজরায়েলি সেনা আইডিএফের তরফে জানানো হয়েছে, লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে এই হামলা চালানো হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। ইজরায়েলের জনবসতিবিহীন এলাকায় হেজবুল্লার এই রকেট হামলা চলে যদিও সেই হামলায় বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পর পর অন্তত ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ইজরায়েলের মাটিতে। লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবোল্লার দাবি, তাদের যোদ্ধারা দক্ষিণ লেবাননে হামাস কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ইজরায়েলের উত্তরাংশে এই হামলা চালিয়েছে।
এদিকে হেজবোল্লার হামলার জেরে সতর্ক হয়ে উঠেছে মার্কিন নৌবাহিনী। জানা যাচ্ছে, সমুদ্রে তাদের উপর কোনও রকম হামলা সামাল দিতে গাইডেড মিসাইল প্রস্তুত করে রেখেছে মার্কিন নৌবহর। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সাগরে থাকা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলির তরফে নিরাপত্তা আরও বেশি করে আঁটসাট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলর বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। তার বদলা নিতে গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন ইহুদি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু এই মুহূর্তে তেল আভিভকে লড়াই করতে হচ্ছে তিনটি ফ্রন্টে। গাজায় হামাস, লেবাননে হেজবোল্লা ও ইরান। এর মধ্যে গত কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত হয়ে আছে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্ত। হামলা পালটা হামলাও জারি রয়েছে। এর মাঝেই গত ২৭ জুলাই, ইজরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির এক ফুটবল স্টেডিয়ামে আছড়ে পড়ে ইরানের মদতপুষ্ট হেজবোল্লার রকেট। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ১২ জনের। পালটা অজ্ঞাত হামলায় ইরান মদতপুষ্ট হেজবোল্লার অন্যতম কমান্ডর ফুয়াদ শুক্র। সেই ঘটনায় ইজরায়েলের দিকে অভিযোগ তুলেছে হেজবোল্লা। গোটা ঘটনায় যুদ্ধের আগুনে ফুটছে মধ্যপ্রাচ্য।