চাপচাপ রক্ত, মলদ্বারে ক্ষত, পাঁজর ভাঙা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত। গাজার যুদ্ধবন্দিদের কারাগারের ভিতরে অত্যাচার করা হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আগেও উঠেছে। এ বার প্রকাশ্যে এল একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা গিয়েছে, এক পুরুষ বন্দিকে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করছে ইজরায়েলি সেনারা।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আমেরিকা অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানিয়েছে ইজরায়েল কাছে। নজরদারি ক্যামেরায় ধরা পড়াভিডিয়ো ফুটেজটি সম্প্রচার করা হয়েছে ইজরায়েলের একটি টিভি চ্যানেলে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ঘটনাটি এসডিই তেমান বেসের। গাজার যুদ্ধে বন্দিদের এই জেলখানাতেই রাখছে ইজরায়েল। ভিডিয়ো ফুটেজে স্পষ্ট, কারাগার চত্বরের একটি কোনায় নিয়ে গিয়ে বন্দিকে ধর্ষণ করছে এক দল সেনা। ধর্ষকদের শিল্ড বা বর্ম দিয়ে আড়াল করে রেখেছে অন্য সেনারা।
আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ''আমরা ভিডিয়োটি দেখেছি। যৌন অত্যাচারের অভিযোগ সম্পর্কে জানি। ভয়ানক ঘটনা।'' ইজরায়েলের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া প্যালেস্টাইনিরা বারবারই অভিযোগ করেছে, তাঁদের উপরে নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে জেলে। রাষ্ট্রপুঞ্জও জানিয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইনিরা আগেও এই অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। মিলারের কথায়, ''বন্দিদেরও মানবাধিকার রয়েছে। তা খর্ব করা যায় না। সেনা যদি এ ধরনের কাজ করে, তা হলে ইজরায়েল সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তদন্ত করে দেখা উচিত কারা এই কাজ করেছে। দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত।''
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। গত মাসের শেষের দিকে এ রকমই একটি ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল ইজরায়েলি বাহিনী। তার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। ৯ সেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছিল। তাতে কিছু অতি-কট্টরপন্থী ইজরায়েলি সংগঠন বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। এই সংগঠনগুলির কয়েকটি আবার সরকার-ঘনিষ্ঠ। অভিযুক্ত সেনাদের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে।