সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদীতে ডুবে এক গরু চোরাকারবারী নিখোঁজ রয়েছে। আর উদ্ধার করা হয়েছে নৌকার মাঝির লাশ। মৃতরা হলো- জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোয়ালাগাঁও গ্রামের আশক আলীর ছেলে নৌকার মাঝি নানু মিয়া (২৮) ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে গরু চোরাকারবারী তাজুল ইসলাম (৩৫)।
আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় অনেক খোঁজাখুজির পর মাঝি নানু মিয়ার লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল। কিন্তু চোরাকারবারী তাজুল ইসলামের মৃতদেহ খোঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তের চেলা নদী থেকে একটি স্টিলবডি ইঞ্জিনের নৌকায় বালি বোঝাই করে ছাতক উপজেলায় যাওয়ার পথে সন্ধ্যার সময় নরসিংপুর ইউনিয়নের রহিমপাড়া নামকস্থানে পাহাড়ী ঢলের স্রােতের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। ওই সময় নৌকায় থাকা শ্রমিকরা সাঁতরে নদীতে তীরে পৌছালেও নৌকার মাঝি নানু মিয়া পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
অপরদিকে একই উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া সীমান্তের খাসিয়ামারা নদীপথে চোরাকারবারী তাজুল ইসলামসহ আরো ২০-২৫জন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু পাচাঁর করার সময় পাহাড়ী ঢলের স্রােতের কবলে পড়ে। ওসময় গরুর পিটে চড়ে সবাই কোন রকম প্রাণে রক্ষা পেলেও চোরাকারবারী তাজুল ইসলাম পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। তাকে এখনও পর্যন্ত খোঁজে পাওয়া যায়নি।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর সাংবাদিকদের জানান- ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় ১জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, অন্যজনকেও উদ্ধারের চেষ্ঠা চলছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর