০৭ Jul ২০২৪, রবিবার, ১১:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন


লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৭-২০২৪
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত ছবি: সংগৃহীত


প্রায় ৯ মাস ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষ চলছে। এর ফলে অঞ্চলটিতে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ নামেহ নাসের সর্বশেষ জ্যেষ্ঠ কোনো সদস্য, যিনি ইসরায়েলি হামলার শিকার হলেন। হিজবুল্লাহ জানায়, নামেহ নাসেরের হত্যার প্রতিশোধ নিতে তারা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলোয় ১০০ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তাদের ভাষ্য, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উন্মুক্ত স্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, হিজবুল্লাহর আজিজ ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন নাসের। ইউনিটটি দক্ষিণ-পশ্চিম লেবানন থেকে রকেট হামলা চালানোর জন্য দায়ী। নাসের বিপুলসংখ্যক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।তালেব সামি আবদুল্লাহকে হত্যার পর নাসের ছিলেন ইসরায়েলি হামলার শিকার হিজবুল্লাহর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা। গত মাসে সামি আবদুল্লাহ নিহত হন। এর জবাবে এক দিনেই উত্তর ইসরায়েলে ২০০টির বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হিজবুল্লাহ।

এর পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক প্রয়াস চলছে। সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে গেলে সেটির সম্ভাব্য ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। যুদ্ধে ইরান ও অন্যান্য গোষ্ঠীও জড়িয়ে পড়তে পারে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।এর পর থেকে প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গোলা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত লেবাননের ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এঁদের বেশির ভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন ২৫ ইসরায়েলি। এদের প্রায় সবাই সেনাসদস্য।