মাদারীপুরের শিবচরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজ্জাক তালুকদারকে (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ কে এম আলমগীর হোসাইন অভিযুক্ত রাজ্জাক তালুকদারকে (৪২) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজ্জাককে শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো একটি কেচি উদ্ধার করা হয়।
মাদারীপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান জানান, শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল গ্রামের খালেক তালুকদারের ছেলে ইজিবাইক চালক রাজ্জাক তালুকদার ও তার কালকিনির আব্দুল মান্নান খানের মেয়ে আয়শা আক্তারের (৩০) সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণেই প্রায়ই ঝগড়া হতো। দু'জনই পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ এনে সন্দেহ করতো। সোমবার রাত ৮টার দিকে রাজ্জাক ঘরে ঢুলে তার স্ত্রী আয়েশাকে মোবাইলে কথা বলতে দেখে। এর কারণ জানতে চাইলে স্বামী-স্ত্রী দু'জনের সঙ্গে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাক প্রথমে তার স্ত্রীকে কিলঘুষি মারে। একপর্যায়ে ধারালো কেচি (কাপড় কাটার) দিয়ে আয়েশার পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আয়েশার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় রাজ্জাক তালুকদার। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে শিবচর থানায় রাজ্জাককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আত্মগোপনে থাকা রাজ্জাককে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে আদালতে তোলা হয়। এদিকে নিহতের ময়নাতদন্ত জেলা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর