দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরশহরের মাংস সেডে রোগাক্রান্ত ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রির অপরাধে মমিনুল ইসলাম (৩৫) নামের এক মাংস বিক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দন্তপ্রাপ্ত মাংস বিক্রেতা মমিনুল ইসলাম ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুর গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর আড়াইটায় পৌরশহরের বাজারস্থ মাংস সেডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল অভিযান চালিয়ে রোগাক্রান্ত ছাগল জবাই করে বিক্রির অপরাধে মাংস বিক্রেতা মমিনুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর জগদীশ চন্দ্র মোহন্ত বলেন, পৌরশহরের বাজারস্থ সেডে রোগাক্রান্ত ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোয়েন্দা তথ্যে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এ সময় ড ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল অভিযান চালিয়ে মাংস বিক্রেতা মমিনুল ইসলামকে আটকসহ রোগাক্রান্ত ছাগলের মাংস জব্দ করেন। পরে মাংসটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খাওয়ার অনুপযোগী বলে ঘোষণা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই মাংস বিক্রেতাকে উপরোক্ত অর্থদন্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী এবং রোগাক্রান্ত ছাগল জবাই করে বিক্রির অপরাধে ২০০৯ সালের আইনের ৫৬ ধারায় মাংস বিক্রেতা মমিনুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে জব্দকৃত ছাগলের মাংস চার ফুট মাটির গভীরে পুরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।