১৬ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৫:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন


সেন্টমার্টিন-টেকনাফসহ পাঁচ ইউনিয়নে পানিবন্দী ২০ হাজার মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৬-২০২৪
সেন্টমার্টিন-টেকনাফসহ পাঁচ ইউনিয়নে পানিবন্দী ২০ হাজার মানুষ ছবি: সংগৃহীত


ভারী বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের, লবণ মাঠ, খেতের জমি।

বুধবার (১৯ জুন) দিনগত রাত থেকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। বিষয়টি জানিয়েছেন সিপিপির টেকনাফ উপজেলা টিম লিডার কাইসার উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি জানান, গতরাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে সেন্টমার্টিন, সাবরাং, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং বাহারছড়া ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সে সঙ্গে ভেঙে গেছে চিংড়ি ঘের, নষ্ট হয়েছে লবণ মাঠ, খেতের জমি। ভেঙে গেছে ছোট-বড় অনেক রাস্তা। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসে গেছে। মানুষ ঠিকমত বাড়ি-ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এখনো ভারী বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে।

হ্নীলার বাসিন্দা শিক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, বেড়িবাঁধের স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ওয়াব্রাং এলাকাসহ অনেক গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। দ্রুত স্লুইস গেইটের পাশে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না করলে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আরো বৃষ্টি হলে ওয়াব্রাং মৌলভীবাজার ফুলের ডেল হাজার হাজার মানুষ হতাহত হতে পারে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে দ্বীপের অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে।এখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আশা করি বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যেতে পারে।তবে বঙ্গোপসাগরে পানি আগের তুলনায় ১-২ ফুট বাড়ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আদনান চৌধুরী জানান, বুধবার রাত থেকে অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার কাজ চলতেছে।