১৬ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৫:৩৯:৩০ পূর্বাহ্ন


স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৬-২০২৪
স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা


ঢাকার নবাবগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন মনোরঞ্জন রায় মনু। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চন্দ্রখোলা নয়াহাটি ব্রিজে চাচাতো ভাই ভজন রায়কে হত্যা করেন মনোরঞ্জন।

নিহত ভজন রায় (৫০) ওই গ্রামের মৃত কৃষ্ণ রায়ের ছেলে। তিনি স্থানীয় চন্দ্রখোলা কালীখোলা বাজারে খুচরা পান বিক্রেতা ছিলেন। হত্যাকারী মনোরঞ্জন রায় (মনু) তার আপন চাচা দুর্লভ রায়ের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোরঞ্জন রায় প্রবাসে থাকাকালে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তা নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা দেখা দেয়। সে সময়ে মনোরঞ্জনের স্ত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে যান। মনোরঞ্জন ৬ মাস আগে প্রবাস থেকে ফিরলে তাকে স্ত্রী নিয়ে বাড়িতে থাকতে নিষেধ করেন বড় ভাই ভজন রায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মনোরঞ্জন। দুই দিন আগেও লাঠি নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করেন মনোরঞ্জন। 

সোমবার রাত ১০টার দিকে পানের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ভজন রায়। চন্দ্রখোলা নয়াহাটি ব্রিজের ওপর আগে থেকে অবস্থান নেওয়া মনোরঞ্জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভজন রায়ের মাথায় লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। ভজন রায় ব্রিজের উপর পড়ে যান। এ সময় পার্শ্ববর্তী আবদানী গ্রামের এক পথচারী দেখে চিৎকার দিলে মনোরঞ্জন দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভজন রায়কে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী সবিতা রায় জানান, দেবরের স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, স্বামীর স্বল্প আয়ে কোনো রকমে সংসার চলত। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমি কিভাবে চলব। আমার সব শেষ করে দিল।  

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহজালাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।