কুমিল্লার মনোহরঞ্জে স্বামীকে গুলি করে স্ত্রীর গলার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় উপজেলার সরশপুর ইউপির দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ বাবাকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে ষ্ট্রোক করে মারা গেছে তার বড় ছেলে ফারুক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় চাটখিলের দিক থেকে ২টি মোটর সাইকেলে করে ৪ জন লোক আসে মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরশপুর ইউপির দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামে (চাটখিল/সোনাইমুড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকা)। এ সময় তারা আবদুল মালেকের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় মোটর সাইকেলে বসা একজন সিগারেট আছে কিনা জিজ্ঞেস করে। এক পর্যায়ে কোন কিছু বোঝার আগেই তাদের একজন বাহিরে থাকা মালেকের স্ত্রীর গলার চেইন ও কানের দুল টান দিলে সে চিত্কার দেয়, এ সময় তার স্বামী মালেকও বাহিরে এসে চিত্কার করলে তখন তাদের একজন মালেককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং ২টি মোটর সাইকেলে ওরা ৪জন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে নাথেরপেটুয়ার দিকে চলে যায়।
গুলিবিদ্ধ মালেককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপালালে নেয়া হয়। এদিকে মালেকের বড় ছেলে ফারুক (৪২) বাবার এমন ঘটনা শুনে তাড়াহুড়ো করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে রিক্সা উল্টে পড়ে যায় এবং সেখানেই সে ষ্ট্রোক করে মারা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির। তিনি আসামীদের সনাক্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান।