গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ৪০ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাৎ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে দীর্ঘ ৮ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বুধবার সকালে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রতারক মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোপটী (পশ্চিম) গ্রামীন ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালীন ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ৪০ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৫০ টাকা আত্মসাত করেন। পরর্বতীতে দুর্নীতি দমন কমিশন (কুমিল্লা জোন) এর সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুল হুদা বাদী হয়ে গত ১০ নভেম্বর ২০১৪ ইং তারিখ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানায় অর্থ আত্মসাৎকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলার নং-২৫, তারিখ-১৯ নভেম্বর ২০১৪ খ্রিঃ, জিআর- ৩১৫/১৪, ধারা-৪০৯/১০৯/ ৪৬৭, দ্য পেনাল কোড-১৮৬০।
মামলা দায়ের হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন এর একটি টিম চাঁদপুর জোনাল অফিস থেকে আসামি মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া গ্রেফতার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। পরর্বতীতে আসামি মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া জেলহাজত থেকে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ আসামি মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার অনুপস্থিতিতে ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২৪,২৬,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বর্নিত মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ফেনী জেলার ছাগলনাইয়াা থানাধীন পাঠাননগর এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১০, কেরানীগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, পিতা- মৃত মোখলেছুর রহমান, সাং- উলুপাড়া, থানা- সোনাইমুড়ী, জেলা-নোয়াখালী’কে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে সূত্রে বর্ণিত মামলায় ২০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২৪,২৬,০০০/- অর্থদন্ডপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় সে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে বের হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় এবং ফেনী, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে বসবাস করতে থাকে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।