ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হাত-মুখ বেঁধে এক গৃহবধূকে (২৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ মার্চ উপজেলার নাসিরাবাদ ইউয়িনের আলেখারকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী ৪ বছর আগে স্ট্রোকে মারা যান। এরপর থেকে এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি খাকান্দা গ্রামে বসবাস করছিলেন। গত ২৮ মার্চ বিকেলে ওই গৃহবধূর পার্শ্ববর্তী আলেখারকান্দা গ্রামে পাওনা টাকা আনতে চাচা শ্বশুর লুৎফর রহমানের কাছে যান। কিন্তু শ্বশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ সময় গৃহবধূ তার শ্বশুর বাড়ির এলাকার দুই যুবক আসাদুল ও আলামিনকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ির দিকে রওনা হন।
কিন্তু পথিমধ্যে তারা আলেখারকান্দা আউড়াবাগ বাগানের কাছে পৌঁছালে প্রায় ৪/৫ যুবক তাদের পথ গতিরোধ করেন। এ সময় স্থানীয় রুবেল, শাহীন, সজিব, রাকিব, হাসিবুল ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে আসাদুল ও আলামিনকে মারধর করে এবং ওই গৃহবধূর হাত ও মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ও রাতভর গণধর্ষণ করেন। সকালে বাবার বাড়ি ফিরে গৃহবধূ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার এসআই মো. তাহসিন জানায়, ওই গৃহবধূকে ভাঙ্গা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি নেওয়ার জন্য ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের খুব শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
রাজশাহীর সময় / এম আর