রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক কাওসার আলীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার কাওসারকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আলীর ছোড়া গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। এ সময় দুই পুলিশ কনস্টেবল ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের ভাই বাদি হয়ে রোববার গুলশান থানায় মামলাটি করেন। এতে কনস্টেবল কাওসার আলীকে আসামি করা হয়েছে।
ডিপ্লোমেটিক জোনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের হাতে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এসএমটি সাবমেশিনগান দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ অস্ত্র দিয়ে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। কাওসার এই অস্ত্র দিয়ে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, ঘটনার পর হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানালে রাত সোয়া একটার দিকে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
এদিকে এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন আহত হয়েছেন। তিন রাউন্ড গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাজ্জাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার পর রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা যায়, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোণা। তিনি ২০১৮ সালে পুলিশে যোগ দেন।