দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হলেও ব্যালটে ব্যবহৃত সিল নিয়ে বিপাকে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা।
নিম্নমানের সিল হওয়ায় অতিদ্রুত সিল থেকে রাবার খুলে যাচ্ছে ফলে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে দায়িত্বরতদের।
এদিকে সিলের সমস্যা হওয়ায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম দেরি হওয়ায় ক্ষিপ্ত ভোটাররা।
সরেজমিনে উপজেলার পৌর এলাকার মহিলা ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্র, গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ ভোট কেন্দ্র, দৌলতপুরে ইউনিয়নের পূর্ব চকমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কেনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও ভোট কেন্দ্রের বুথগুলোতে ব্যালটে ব্যবহৃত সিল নিয়ে বিপাকে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা। ফলে কোনোরকমে আঠা লাগিয়ে সেগুলো ব্যবহার করছেন তারা।
পূর্ব চকমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কেন্দ্রে ৭টি বুথ রয়েছে। আমাকে নির্বাচন অফিস থেকে মোট ১৭টি সিল দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সকালে ১টি করে সিল দেয়া হলে ১০ টা বাজতে বাজতে সিলগুলো থেকে রাবার খুলে যায়। ফলে সেগুলো সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা আমাকে জানালে আমি সেগুলো সংগ্রহ করে আবারো নতুন সিল প্রদান করি।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়টি নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের জানালে তারা বলেছেন নতুন করে দেয়ার সুযোগ নেই, যেগুলো খুলে যাচ্ছে সেগুলোতে আঠা কিনে লাগায় ব্যবহার করুন। আমার কেন্দ্রটি একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আশেপাশে কোনো দোকানপাটও নেই ফলে বিপাকে পড়েছি আমি।
ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, আমার কেন্দ্রেও সিলের রাবারগুলো খুলে গেছে। সিলগুলো অত্যান্ত নিম্নমানের। বর্তমানে সুপারগ্লু আঠা কিনে সেগুলো আটকিয়ে ব্যবহার করছি।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, বিষয়টি জেনেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে।