১৬ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৯:৩৫:৩১ পূর্বাহ্ন


রাণীশংকৈলে সেই আলোচিত স্বর্ণের ইটভাটায় ভূতত্ত্ব টিমের সরেজমিনে অনুসন্ধান
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৬-২০২৪
রাণীশংকৈলে সেই আলোচিত স্বর্ণের ইটভাটায় ভূতত্ত্ব টিমের সরেজমিনে  অনুসন্ধান রাণীশংকৈলে সেই আলোচিত স্বর্ণের ইটভাটায় ভূতত্ত্ব টিমের সরেজমিনে অনুসন্ধান


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ব্যাপক আলোচিত সেই সোনার খনি খ্যাত আরবিবি ইটভাটার মাটির স্তুপে সোনা পাওয়ার প্রচারিত সংবাদ ও হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরের দুই সদস্যর একটি টিম সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছেন।

মঙ্গলবার ও বুধবার (৪ ও ৫ জুন) সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ ও অন্যান্যদের সাথে নিয়ে আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, এবং যে স্থান থেকে মাটি নিয়ে আসা হয়েছিল সেই শ্যামরাই মন্দিরের পাশের জমি ও পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমূনা সংগ্রহ করেন।

অনুসন্ধান শেষে টিমের সদস্যরা এদিন দুপুরে জানান, আমরা এ এলাকার তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি এবং চোখে দেখে এ মাটি পরীক্ষা করেছি। এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে  পরীক্ষার জন্য জমা দেবো।

সংগৃহীত মাটি অনুযায়ী এসব স্থানে সোনা থাকার সম্ভাবনা আছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা না থাকলেও প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে সোনা ইত্যাদি থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত: গত একমাস ধরে কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটির ঢিবিতে সোনা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার মানুষ মাটি খোঁড়ার কাজে ছুটে এসেছিল। কেউ কেউ সোনার মোহরসহ বিভিন্ন স্বর্ণের জিনিষ পেয়েছিল বলে অনেক মাধ্যমে জানা গেছে। বর্তমানে ওই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি বলবৎ রয়েছে।