১৬ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১১:৩২:৪১ পূর্বাহ্ন


টেকেরঘাট সীমান্তে ২হাজার টন চুনাপাথর পাচাঁরের অভিযোগ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২৪
টেকেরঘাট সীমান্তে ২হাজার টন চুনাপাথর পাচাঁরের অভিযোগ টেকেরঘাট সীমান্তে ২হাজার টন চুনাপাথর পাচাঁরের অভিযোগ


চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তে সরকারের রজস্ব ফাঁকি প্রায় ২হাজার মেঃটন চুনাপাথর পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল রবিবার (২রা জুন)  রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রতিদিনের মতো টেকেরঘাট সীমান্তের বরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী, কামাল মিয়া, রুবেল মিয়া, মহিবুর মিয়া, সাইদুল মিয়া ও তোতলা আজাদগং ১৫০টি ঠেলাগাড়ি দিয়ে ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবাধে চুনাপাথর পাচাঁর শুরু করে।

সোমবার (৩ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত চোরাকারবারীরা প্রায় ২হাজার মেঃটন চুনাপাথর পাচাঁর করে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন জয়বাংলা বাজারের কাঠের ব্রিজের পাশে অবস্থিত হেকিম, এমরান ও শাহ পরানের জায়গায় মজুত করেছে। কিন্তু পাচাঁরকৃত এসব অবৈধ চুনাপাথর জব্দ করাসহ চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতারের জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। অথচ এই ক্যাম্পে নায়েক সুবেদার সাইদুর দায়িত্ব পালন কালে বন্ধ ছিল চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য।

জানা গেছে- পাচাঁরকৃত প্রতি ঠেলাগাড়ি চুনারপাথর (দেড় টন) থেকে বিজিবি নাম ভাংগিয়ে ১৫০টাকা, সাংবাদিক ও থানার নামে ২শ টাকাসহ মোট ৫শ টাকা ও প্রতিবস্তা চোরাই কয়লা (৫০ কেজি) থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, সাংবাদিক ও থানার নাম ভাংগিয়ে প্রতি টনে ২হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে গডফাদার তোতলা আজাদ, তার সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া ও চাঁনপুরের জামাল মিয়া। চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৫বছরে গডফাদার তোতলা আজাদ ১৫ কোটি ও সোর্স আক্কল আলী ৩ কোটি টাকার মালিক হয়ে। তাদের অবৈধ অর্থ ও অর্জিত সম্পদ উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন। 

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খায়ের বলেন- ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর হওয়ার কারণে আমরা বৈধ ব্যবসায়ীরা বিরাট ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী নবী হেসেন বলেন- সোর্স আক্কল আলী ও তার গডফাদার প্রতিদিন অবৈধ ভাবে চুনাপাথর ও কয়লা পাচাঁরের পর লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। সুনামগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ চুনাপাথর ও কয়লা পাচাঁরের খবর পাওয়ার সাথে সাথে সীমান্তের টেকেরঘাট (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) ও চাঁনপুর (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না।     

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কোম্পানী কমান্ডার দীলিপ বলেন- আমাদের অনেক কাজ আছে, এসব দেখার ও শুনার সময় নাই। তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনি এব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলেন, থানা-পুলিশে কোন সোর্স নাই। আমাদের নামে কেউ চাঁদা উত্তোলন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।