মাছ, ডিম ও মুরগির পর এবার বাজারে ঘূর্নিঝড় ও বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শাক ও সবজির দাম। ঘূর্নিঝড় ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজি সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। ফলে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েই চলেছে।
শনিবার (১ জুন) রাজশাহী মহানগরীর কেদুরমোড় বউ বাজার ও সাগরপাড়া কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়। এদিকে ডিমের বাজার গত সপ্তাহের তুলনায় ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। ডজনে ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এ ছাড়া মুরগির মাংসের দামও কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
এছাড়া পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। কেজিতে ৫০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে।
সাপ্তাহিক রাজশাহীর বাজার দর
বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, লাউ পিস ২০ টাকা, এছাড়া লাউ, চিচিঙ্গা, ডুমর, ঢেড়স বিক্রয় হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। পূর্বের দামে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগি দাম, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা।
গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম গড়প্রতি ২০ টাকা কমে পাঙ্গাস ১০০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০-১৬০ টাকা, রুই ২৫০-৩৫০ টাকা ও সিলভার ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছ ব্যবসায়ী জানায়, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে মাছের সরবরাহ বেড়েছে, তাই মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে কেজি প্রতিতে ২০টাকা কমেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে এবং সরবরাহ ঘাটতি থাকলেই দাম বাড়ে এতে তাদের কিছু করার নেই।
ক্রেতা মোসা: পারভিন বেগম বলেন, সিজনাল সবজির দাম কম থাকলেও সকল পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করে। এ নিয়ে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন।