২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন


নগরীর মিজানের মোড়ে সুমন রঙ্গীলা দম্পত্তীর মাদকের কারবার রমরমা !
নিজস্ব প্রিতিবেদক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৫-২০২৪
নগরীর মিজানের মোড়ে সুমন রঙ্গীলা দম্পত্তীর মাদকের কারবার রমরমা ! সুমন রঙ্গীলা মাদক দম্পত্তী (ফাইল ফটো)


রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধিন চর-শ্যমপুরে (মিজানের মোড়) হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। মতিহার এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী আকবর আলীর ছেলে সুমন ও তাঁর স্ত্রী রঙ্গিলা। এরা অদৃশ্য এক হোয়াইট কালারের গডফাদারের ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছেন মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

দিন-রাত প্রকাশ্যে চলছে মাদকের কেনা-বেচা। সেই সাথে সেখানেই চলছে মাদক ক্রয় ও সেবন।  মূলত হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট ও ট্যপেন্টাডল বিক্রি করে এই দম্পত্তী। রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আসা  বিভিন্ন শ্রেণী পেশার যু্বক ও শিক্ষার্থীরা সুমন রঙ্গীলা দম্পত্তীর কাছে মাদক ক্রয় ও সেবন করছে । তাদের এই অবৈধ মাদকদ্রব্য  বিক্রির কারনে দিন-রাত বহিরাগত লোকজনের যাতায়াতের কারনে অতিষ্ঠ ও ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা।  তবে তাদের দাপটে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারা। মুখ খুললেই গালি গালাজ আর হুমকি দিয়ে থাকে এই দম্পত্তী । এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক স্থানীয়রা জানায়,  অদৃশ্য এক শক্তি তাদের ছায়া দিয়ে রেখেছে। সেই শক্তি কাছে নাকি থানা পুলিশও অসহায়। মদত দাতাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক-সহ নানা অপকর্মের একাধিক মামলা।  অভিযান চালালে অদৃশ্য শক্তির কাছে মিথ্যা হয়রানিতে পড়তে হয় পুলিশকেও বলে অভিযোগ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশেই এক নারী হাতে ব্যাগ নিয়ে হেরোইনের পুরিয়া দিচ্ছে সেবনকারীদের। বাড়ির সামনেই যেন মাদকের হাট বসিয়েছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ ভাবে দিনরাত ২৪ ঘন্টা বসে সুমন রঙ্গীলা দম্পত্তীর মাদকের হাট।

এই দম্পত্তীর হাতে রয়েছে চোর, ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী। তারা তাদের নিয়মিত কাস্টমার। আর এই সকল চোর ছিনতাইকারীদের কারণে মিজানের মোড়-সহ আশপাশের এলাকায় বেড়েছে  চুরি ও ছিনতাই। একদিকে রাতের ঘুম হারাম হচ্ছে বাসিন্দাদের। অপর দিকে ধ্বংস হচ্ছে ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ-সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।  স্থানীয়রা বলেন, চর-শ্যামপুর মিজানের মোড়ে অনেক মাদক কারবারী রয়েছে। তবে মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা সুমন দম্পত্তী।

বর্তমানে মাদক কারবারী সুমন ও রঙ্গিলা নেতৃত্বে  ১০/১৫ জন নারী ও পুরুষ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এরা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী। তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মাদক মামলা।

স্থানীয়দের দাবি, এই দম্পত্তীর মাদক কারবার স্থায়ী ভাবে বন্ধ করা-সহ সকল মাদক কারবারী মাদক কারবার স্থায়ী ভাবে বন্ধ করা হোক। সেই সাথে  মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করা হোক ছাত্র ও যুব সমাজকে।  এ ব্যাপরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

জানতে চাইলে রাসিক ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জাহের হোসেন সুজা বলেন, আমার অবস্থান সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। কিছু কথিত মাদক সিন্ডিকেট চক্র এসব মাদক কারবারিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রশাসন চাইলে আমিও সহযোগীতা করবো।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুশিশ কমিশনার (সদর), মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক কারবারিরা আটক হচ্ছে। আবার তারা জেল থেকে বের হয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্য কোন মাদক কারবারিকে সহযোগিতা করে তাহলে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।