২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৪৭:০৮ পূর্বাহ্ন


মহানগরীর চন্ডিপুরে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার; দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৫-২০২৪
মহানগরীর চন্ডিপুরে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার; দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার মহানগরীর চন্ডিপুরে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার; দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার


রাজশাহী মহানগরীতে নুরনবী নামের এক অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে অপহৃত ব্যক্তির  একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো, মহানগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকার মোঃ বরজাহান আলীর ছেলে মোঃ আকাশ আলী শিমুল(২৫) ও একই এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে সাব্বির আহমেদ মুন্না (২৬)।

বুধবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর), মোঃ জামিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার নওহাটা গ্রামের নুরনবী অন্তর নামের এক ব্যক্তি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকায় বসবাস করেন। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় আসামি আকাশ, সাব্বিরসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী নুরনবী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে মারপিট করে। এরপর নুরনবীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে লক্ষীপুর ঐতিহ্য চত্বর শিশু হাসপাতালের পিছনে নিয়ে যায়। তারা মোবাইল ফোনে নুরনবীর স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মু্ক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তার স্বামীর হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ারও হুমকি দেয়। বিষয়টি নুরনবীর স্ত্রী মহানগর ডিবি পুলিশকে জানান।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার কে এম আরিফুল হক, বিপিএম, পিপিএম-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ নাদিম উদ্দীন ও তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স অপহৃত নুরনবীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।

পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের ওই দল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর ভাটাপাড়া গুজির মাঠ থেকে নুরনবীকে উদ্ধার করে। অভিযানে অপহরণকারী আকাশ ও সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও সেখান থেকে ৬জন অপহরণকারী পালিয়ে যায়।এসময় আসামিদের কাছ থেকে নুরনবীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,  ভূক্তভোগী নুরনবীকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রথমে শিশু হাসপাতালের পিছনে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে আহত করে এবং তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তাকে লক্ষীপুর ভাটাপাড়া গুজির মাঠে নিয়ে যায়।

আসামিদের বিরুদ্ধে মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

বুধবার  সকালে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।