রাজশাহীর পুঠিয়ার ঋষিপাড়া গ্রামে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে স্ত্রী সুবন্যা রানী (২৩) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এবং স্বামী সুভাষচন্দ্র দাস (৩০) স্ত্রীর শোকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ৩ টায় নিজ বাড়িতে স্ত্রী বিষপান করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এরপর স্ত্রীর শোকে কাতর হয়ে বিকেল ৫ টার সময় শামসুদ্দিন সরকার পুকুরপাড়ে মেহেগুনি গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে যুবক।
মৃত সুভাষ চন্দ্র দাস ঝলমলিয়া ঋষিপাড়া এলাকার বলায়চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ঝলমলিয়া বাজারে ইঞ্জিন ও ওয়ারিং মিস্ত্রির কাজ করতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনজিওর কাছে ঋণ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হত। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে দুপুর তিনটার দিকে স্ত্রী সুবন্যা রানী বিষপান করেলে তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। এরপর স্ত্রীর শোকে ও মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে বিকেল ৫টার সময় স্ত্রী শাড়ি গাছের ডালে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সুভাষচন্দ্র। উক্ত ঘটনায় পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি। উক্ত আত্মহত্যার ঘটনায় বাদী না হওয়ায় লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।